প্রত্যয় নিউজ ডেস্ক: বয়স এখনও ১৮ হয়নি; বাংলাদেশসহ অনেক দেশের নিয়মানুযায়ী তার এখনও ভোটাধিকারই নেই। কিন্তু ভোটাধিকার না থাকলেই কী, গোলের অধিকার তো আছে? সে অধিকার থেকেই একের পর এক রেকর্ড গড়ে চলেছেন স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার ১৭ বছর বয়সী বিস্ময় বালক আনসু ফাতি।
মঙ্গলবার রাতে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের নতুন মৌসুমের প্রথম ম্যাচে ফেরেন্সভারোসকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বার্সেলোনা। সে ম্যাচে দুর্দান্ত খেলার পাশাপাশি জালের দেখাও পেয়েছেন ১৭ বছরের ফাতি। আর এতে হয়ে গেছে দারুণ এক রেকর্ড।
চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে এখন ফাতিই একমাত্র খেলোয়াড়, যার কি না ১৮ বছর হওয়ার আগেই রয়েছে দুইটি গোল। গত বছরের ডিসেম্বরে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ম্যাচে চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজের প্রথম গোল করেছিলেন ফাতি।
সেটি ছিল টুর্নামেন্টের ইতিহাসের সবচেয়ে কনিষ্ঠতম খেলোয়াড় হিসেবে গোলের রেকর্ড। এবার ফেরেন্সভারোসের বিপক্ষে নিজের দ্বিতীয় গোল করে গড়লেন ১৮ বছর হওয়ার আগেই একের বেশি গোলের অনন্য কীর্তি।
এই রেকর্ড গড়ার দিনে সব মহলের প্রশংসায় যেমন ভেসেছেন ফাতি, তেমনি মুখোমুখি হয়েছেন অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঘটনারও। স্প্যানিশ পত্রিকা এবিসি’র ম্যাচ রিপোর্টে ফাতিকে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘রাস্তার কালো হকার’ হিসেবে। যা স্পষ্টত বর্ণবাদের শামিল।
৪৫ বছর বয়সী সালভাদর সসট্রেস নামের সাংবাদিকের করা সেই ম্যাচ রিপোর্টে লেখা হয়েছিল, সে (ফাতি) একজন ‘রাস্তার কালো হকার’, এবং যখন পুলিশ হাজির হয়, ‘আপনি তাদের হঠাৎ দৌড়াতে দেখবেন।’
এমন ম্যাচ রিপোর্ট দেখার পর সঙ্গে সঙ্গে এর প্রতিবাদ করেছিলেন বার্সেলোনায় ফাতির সতীর্থ খেলোয়াড় অ্যান্তনিও গ্রিজম্যান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে তিনি লিখেন, ‘আনসু একজন ব্যতিক্রমী ছেলে যে সব মানুষের মতোই সম্মানের দাবি রাখে। বর্ণবাদকে না, অভদ্রতাকে না।’
গ্রিজম্যানের এই টুইটের পর থেকে শুরু হয় তোলপাড়। বর্ণবাদের অভিযোগে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয় এবিসি পত্রিকা ও সালভাদরের অবস্থান। পরে তাদের পক্ষ থেকে দুঃখপ্রকাশ করে ক্ষমা চাওয়া হয়।
ক্ষমা চেয়ে সেই সাংবাদিক ফের লিখেছেন, ‘আমি ফাতির সুন্দর খেলার প্রশংসা করতে উপমার ব্যবহার করতে চেয়েছিলাম। যেকোনো প্রকার ভুল বোঝাবুঝির জন্য আমি দুঃখিত।’