1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

মাস্ক না পরলে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সেবা নয়

  • Update Time : রবিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২০
  • ২৫৬ Time View
মাস্ক না পরলে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সেবা নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক: মাস্ক না পরলে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো সেবা মিলবে না। এমন নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিসভা। রোববার (২৫ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই নির্দেশনা দেয়া হয়। গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। শীতে করোনা বাড়তে পারে, সে জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছিল- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সেটা অলরেডি চারদিকে ম্যাসিভ ইনস্ট্রাকশন দিয়ে দেয়া হয়েছে। চারদিকে যতগুলো আমাদের ইনস্টিটিউশন আছে, সোশ্যাল বা অর্গানাইজেশনাল বা ফরমাল প্রতিষ্ঠান- আমরা তাদের নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি। এক নম্বর হলো- নো মাস্ক নো সার্ভিস (মাস্ক না পরলে সেবা পাবেন না)। তারপর হলো সব জায়গায়, সব প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার বা শপিংমল বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক ও ধর্মীয় সম্মেলনে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। আমরা এটা কম্পোলসারি (বাধ্যতামূলক) করে দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বিভাগীয় কমিশনারদের ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি। সব সরকারি-বেসরকারি অফিসের বাইরে বড় একটা পোস্টারের মতো থাকবে- মাস্ক ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবে না, মাস্ক ছাড়া ব্যবহারও করতে পারবে না। ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে প্রচার করার জন্য বলা হয়েছে- দিনে দুইবার নামাজের পর প্রচার করার জন্য যে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। আলেমা-ওলামাদের সঙ্গেও কথা বলেছি ওনারাও এটা শুরু করেছেন।’ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কীভাবে মাস্ক পরা নিশ্চিত করা হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ইন্সপেকশন করা হবে।’ তাহলে মাস্ক ছাড়া কেউ এলে তাকে সেবা দেয়া হবে না- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘ঢুকতেই দেয়া হবে না, আমরা বলে দিয়েছি। শুধু সরকারি নয়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও। বিভিন্ন প্রডিউসার তাদের সঙ্গেও কথা বলেছি, তারাও তাদের ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে সেটা চালু করছেন ইনশাআল্লাহ।’

করোনার সময় অন্য রোগীদের সেবা পেতে সমস্যা হয়েছে, আবার দ্বিতীয় ঢেউ আসছে- এ বিষয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এখন আল্লাহর রহমতে ওই প্রবলেমটা হবে না। এখন একটা ট্রিটমেন্ট প্রোটকল চলে আসছে। ওই প্যানিকটা (আতঙ্ক) চলে গেছে। ইনিশিয়ালি (শুরুতে) তো বোঝা যাচ্ছিল না জিনিসটা কী? ডাক্তার-স্টাফরাও এখন আর অত ভয় পাচ্ছে না। আমি দু-একটি হাসপাতালে গিয়ে দেখেছি।’ হাসপাতালগুলোতে এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা আছে কিনা- এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নির্দেশনা আছে, কোভিড ও নন-কোভিড দুটোকে আলাদা করে চিকিৎসা করা। ঢাকা মেডিকেলেই দেখেন কোভিড আলাদা হয়ে গেছে, এটা আলাদা হয়ে গেছে। কোনো অসুবিধা হচ্ছে না।’

গণপরিবহনে মানুষ মাস্ক পরছে না- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আমরা এটা দেখব। আজ এটা আলোচনা হলো। সড়ক সচিব, নৌপরিবহন সচিব ও রেল সচিবের সঙ্গে আমরা কাল-পরশু বসব ইনশাআল্লাহ। বসে ওটা একটা ওয়ার্ক আউট করা যাবে।’ কোভিড-১৯ মোকাবিলায় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয় বৈঠকে।

এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশে এখন ৯৩টি কেন্দ্রে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হচ্ছে, এরমধ্যে ৫০টি বেসরকারি। প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে দুই হাজার চিকিৎসক এবং চার হাজার নার্স নিয়োগ দেয়ায় কোভিড-১৯ হ্যান্ডেল করার ক্ষেত্রে খুবই বড় অবলম্বন হিসেবে কাজ করেছে। এর বাইরেও স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে দুই হাজার ৬৫৪ জন টেকনিশিয়ান ও সহকারীকে নিয়োগ দিয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..