নিজস্ব প্রতিবেদক: ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি ও মালয়েশিয়ায় ফেরার দাবিতে কয়েক হাজার প্রবাসী সোমবার (২ নভেম্বর) সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও করেন। এর আগে রবিবার (১ নভেম্বর) মধ্যরাত রাত থেকেই তারা প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকেন। দুপুরে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে তারা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন। ঘেরাওয়ের কারণে প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থানরত প্রবাসীরা জানান, করোনা মহামারির আগে ছুটিতে দেশে ফিরে আসেন তারা। কিন্তু, ফ্লাইট বন্ধ থাকায় আর ফিরে যেতে পারেননি। তাদের অনেকেরই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে এবং ডিসেম্বরের মধ্যে বেশিরভাগ প্রবাসীর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া মালয়েশিয়া প্রবাসী আক্তার জানান, তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে সেপ্টেম্বরে। ডিসেম্বরে ছুটিতে আসার পর ফিরে যাওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে ফ্লাইট বন্ধ থাকায় যেতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘এত মাস ধরে দেশে বসে আছি। কোনও আয় রোজগার নাই। ঋণ করে চলছি এই কয়মাস। আর কিছুদিন চললে না খেয়ে মরতে হবে।’
প্রবাসীরা এভাবেই তাদের আক্ষেপের কথা জানান। সকাল ১১টার দিকে আন্দোলনরত প্রবাসীদের পাঁচ জনের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কথা বলেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (সাউথ-ইস্ট এশিয়া) এম জে এইচ জাবেদ। তিনি প্রতিনিধি দলকে জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে মালয়েশিয়া সরকার ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনও বাংলাদেশিকে সেদেশে ঢুকতে দেবে না। সেদেশের সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রবাসীদের অপেক্ষা করতে বলেন তিনি। মালয়েশিয়া সরকার করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দেওয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে এই প্রবাসীদের ফিরে যেতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
এরপর দুপুর দেড়টার দিকে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন প্রবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি এবং যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাদের পুনরায় ভিসা দেওয়ার ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। এছাড়া দেশে দীর্ঘদিন কাজ না থাকার কারণে যারা অর্থ কষ্টে রয়েছেন, তাদের আর্থিক সহযোগিতার বিষয়টি নিয়েও তিনি কাজ করবেন বলে জানান। তার আশ্বাসে অবস্থানরত প্রবাসীরা তাদের কর্মসূচী প্রত্যাহার করে নেন।