প্রত্যয় নিউজ ডেস্ক: পাবনার ঈশ্বরদী রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ বাংলাদেশের গর্বের একটি প্রকল্প। এই প্রকল্প থেকে সস্তায় মাত্র ৪.৫০ টাকা ইউনিটে এবং দীর্ঘমেয়াদে আরও সস্তায় বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। কম দামে বিদ্যুৎ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিকে আরও বাড়িয়ে দিতে সক্ষম হবে। এই নিউক্লিয়ার প্রকল্প বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের মর্যাদা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।

এসব কথা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ভারত-চীনের সম্পর্কের বৈরিতা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে বাধা হবে না বলেও জানান তিনি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৪৮ সদস্যের (সিনিয়র সচিব, অতিরিক্ত সচিব, কয়েকজন মহাপরিচালকসহ) একটি টিম ঈশ্বরদীর রূপপুরে নির্মাণাধীন পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প পরিদর্শন শেষে শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব একথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আর্ন্তজাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ শান্তির পক্ষে মডারেটরের দায়িত্ব পালন করছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের মধ্যস্থতায় নেপাল ও ভুটানের মধ্যে সৃষ্ট সমস্যা সমাধান হয়েছে। যা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেছেন, মানুষের উপকারে যে নিউক্লিয়ার ব্যবহার হয় তার উজ্জ্বল প্রমাণ বাংলাদেশ। তিনি বলেন, ভারত-চীনের সম্পর্কের বৈরিতা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে বাধা হবে না। প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর কূটনৈতিক সম্পর্কের বৈরিতা রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ কাজের অগ্রগতিতে কোনো বাধা হবে না।

ড. মোমেন বলেন, আমাদের দেশের মঙ্গলের জন্য যা করণীয় সরকার তার সবকিছুই করবে। আমরা সবার সঙ্গেই বন্ধুত্ব রাখব। ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্ব এখন সোনালী অধ্যায়ে রয়েছে। আবার চীনের সঙ্গে আমাদের গভীর বন্ধুত্ব ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। প্রয়োজনে তাদের পারস্পরিক সম্পর্কের বরফ গলাতে বাংলাদেশ মধ্যস্থতা করবে বলেও জানান তিনি।

এ সময় তিনি স্বল্প সময়ে প্রকল্পের কাজে অভূতপূর্ব অগ্রগতিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবরসহ সংশ্লিষ্ঠ সকলের অবদান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখানে বর্তমানে ১৪ হাজার দেশীয় মানুষ প্রতিদিন কাজ করছেন। করোনা পরিস্থিতিতে প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, বাঙালির আর কিছু থাক আর না থাক হৃদয় আছে। আর হৃদয়ের ভালোবাসা ও এলাকার মানুষের আন্তরিকতার কারণেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের রূপপুর প্রকল্প আজ দৃশ্যমান।

এর আগে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৪৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখেন।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ড. ইয়াফেস ওসমান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের স্ত্রী মিসেস সেলিনা মোমেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও তার স্ত্রী, অতিরিক্ত সচিব সাব্বির আহমাদ চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খন্দকার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক এফএম বোরহান উদ্দিন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর, পাবনার জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদ, পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।