প্রত্যয় নিউজ ডেস্ক: মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ১ ও ২নং পিলারে ৩৮তম স্প্যান ‘ওয়ান-এ’ বসানোর প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও কারিগরি সমস্যা দেখা না দিলে শনিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরের দিকে স্প্যানটি বসানো হবে। এতে দৃশ্যমান হতে চলেছে সেতুর ৫ হাজার ৭০০ মিটার অংশ। তবে কোনো জটিলতা দেখা দিলে একদিন পিছিয়ে আগামীকাল রোববার (২২ নভেম্বর) স্প্যানটি বসানো হবে।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শনিবার সকালে কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ভাসমান ক্রেন তিয়াইন-ই ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৩৮তম স্প্যানটি নিয়ে নির্ধারিত পিলারের উদ্যেশ্যে রওনা হয়েছে। পরবর্তী প্রক্রিয়ায় কারিগরি সমস্যা দেখা না দিলে কিংবা আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আজই স্প্যানটি বসানো হবে। তবে কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি হলে আগামীকাল রোববার স্প্যানটি বসানো হবে।
আজ স্প্যানটি বাসনো হলে চলতি মাসে মোট তিনটি স্প্যান বসানো হবে। তাছাড়া এই মাসেই ১০ ও ১১নং পিলারের ওপর ৩৯তম স্প্যান ‘২-ডি’ বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তাছাড়া ডিসেম্বর মাসে ১১ ও ১২ নং পিলারে ৪০তম স্প্যান ‘২-ই’ ও ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারে সর্বশেষ ৪১তম স্প্যান ‘২-এফ’ বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হলো ৩৭টি স্প্যান। এতে দৃশ্যমান হয়েছে সেতুর ৫ হাজার ৫৫০ মিটার। ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে।
মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো কর্পোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করছে বাংলাদেশের আব্দুল মোমেন কোঃ লিমিটেড।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালে খুলে দেয়া হবে।