সেলিম সানোয়ার পলাশ, রাজশাহী|| রাজশাহী দুর্গাপুর উপজেলার ভাংগীর পাড়া গ্রামে এবার করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত ওই ব্যাক্তির নাম সাইদুল ইসলাম (৪০)। ওই গ্রামের মৃত আশরাফ আলীর পুত্র সে। সাইদুল পেশায় ঝালমুড়ি বিক্রেতা। তার স্ত্রী নাজমা বেগম গার্মেন্টস কর্মী।
রাজশাহী সিভিল সার্জন ডাঃ এনামুল হকের বরাত দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।গত ২৬ এপ্রিল মাইক্রোযোগে নারায়ণগঞ্জ থেকে ভাংগীর পাড়া গ্রামে এসেছে। সাইদুল বাদে অন্যরা সবাই গার্মেন্টস কর্মী। করোনা ভাইরাসের কোনো উপসর্গ না থাকলেও গ্রামের লোকজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৮ এপ্রিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাধ্যমে সাইদুল সহ চারজনের নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি ল্যাবে পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নমুনার ফলাফলে শুধু সাইদুলের করোনা পজিটিভ আসে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাইদুল, তার স্ত্রী নাজমা, ছোট ছেলে জয়, ছোট ভাই লিটন এবং লিটনের স্ত্রী রুপালি, প্রতিবেশি শরিফুল, শাহিন আলম সহ ১২ জন মাইক্রোযোগে একই সাথে গত ২৬ এপ্রিল মধ্যরাতে গ্রামে আসে। এই ১২ জন ব্যাক্তিই নারায়ণগঞ্জের ফুতুল্লায় থাকতেন। আসার পর হতে তাদের জ্বর সর্দি কাশি ও শ্বাসকষ্ট তেমন উপসর্গ দেখা না গেলেও স্থানীয় মানুষের ভয়ভীতি ও অভিযোগের কারনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সাইদুল সহ চারজনের নমুনা সংগ্রহ করে। তবে সাইদুলের ছোট ছেলে জয় বাদে চারজনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করলেও শুধু সাইদুলের নমুনা পজিটিভ এসেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আসাদুজ্জামান জানান, দুর্গাপুর উপজেলায় এ পর্যন্ত মোট ৩৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩ জনের নমুনা রিপোর্ট পেন্ডিং রয়েছে। এছাড়া এই প্রথম একজনের করনা শনাক্ত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহসীন মৃধা জানান, উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে করোনা আক্রান্ত রোগীর বাড়িসহ আশেপাশের কয়েকটি বাড়ি লকডাউনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। কিছু সময়ের মধ্যেই তা নিশ্চিত করা হবে।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আসাদুজ্জামান জানান, দুর্গাপুর উপজেলায় এ পর্যন্ত মোট ৩৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩ জনের নমুনা রিপোর্ট পেন্ডিং রয়েছে। এছাড়া এই প্রথম একজনের করনা শনাক্ত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহসীন মৃধা জানান, উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে করোনা আক্রান্ত রোগীর বাড়িসহ আশেপাশের কয়েকটি বাড়ি লকডাউনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। কিছু সময়ের মধ্যেই তা নিশ্চিত করা হবে।