বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনার ২৯তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘মাস্টারকার্ড এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ ঘোষণা করেছে মাস্টারকার্ড। শনিবার (২৮ নভেম্বর) এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক, ফিনটেক ও মার্চেন্ট পার্টনার প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের ইনোভেটিভ সলিউশনের জন্য ১১টি ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার দিয়েছে মাস্টারকার্ড।
বাংলাদেশে প্রায় তিন দশকের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে নিরবচ্ছিন্ন, নিরাপদ ও সুদক্ষ ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ও এদেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালনে যে সফলতা অর্জিত হয়েছে তা উদযাপন করতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত উন্নয়ন, শিল্প ও বিনিয়োগ-বিষয়ক মাননীয় উপদেষ্টা সালমান এফ. রহমান। এছাড়া সাউথ এশিয়ায় মাস্টারকার্ডের ডিভিশন প্রেসিডেন্ট পোরুষ সিং; চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) ভিকাস ভার্মা; বাংলাদেশে মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামালসহ পার্টনার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
যেসব ক্যাটাগরিতে মাস্টারকার্ড এই পুরস্কার ঘোষণা করেছে সেগুলো হলো- এক্সিলেন্স ইন মাস্টারকার্ড ডেবিট বিজনেস ২০১৯-২০; এক্সিলেন্স ইন মাস্টারকার্ড ক্রেডিট বিজনেস (ডমেস্টিক) ২০১৯-২০; এক্সিলেন্স ইন মাস্টারকার্ড ক্রেডিট বিজনেস (ইন্টারন্যাশনাল) ২০১৯-২০; এক্সিলেন্স ইন মাস্টারকার্ড প্রিপেইড বিজনেস ২০১৯-২০; এক্সিলেন্স ইন মাস্টারকার্ড পিওএস অ্যাকোয়ারিং বিজনেস ২০১৯-২০; এক্সিলেন্স ইন মাস্টারকার্ড অনলাইন অ্যাকোয়ারিং বিজনেস ২০১৯-২০; এক্সিলেন্স ইন মাস্টারকার্ড ডিজিটাল সলিউশন ২০১৯-২০; এক্সিলেন্স ইন মাস্টারকার্ড অনলাইন অ্যাকোয়ারিং (পিএফ) বিজনেস ২০১৮-১৯; এক্সিলেন্স ইন মাস্টারকার্ড বিজনেস (মার্চেন্ট)-পিওএস ২০১৯-২০; এক্সিলেন্স ইন মাস্টারকার্ড বিজনেস (মার্চেন্ট) অনলাইন ২০১৯-২০ এবং নিউয়েস্ট মাস্টারকার্ড মেম্বার ২০১৯-২০।
অনুষ্ঠানে সাউথ এশিয়ায় মাস্টারকার্ডের ডিভিশন প্রেসিডেন্ট পোরুষ সিং বলেন, ‘আগামী ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ সরকার যে ভিশন ঘোষণা করেছে তার প্রতি মাস্টারকার্ডের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। মাস্টারকার্ড বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর প্রথম থেকেই উদ্ভাবনী সেবা চালু করার মাধ্যমে এদেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রম জোরদার করার বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে।’
অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, ‘চলতি ২০২০ সাল একটি ব্যতিক্রমী বছর। প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে পার্টনাররা যেভাবে ব্যবসায়িক সহায়তা করেছে, বিশেষ করে লকডাউনের মাসগুলোতেও নির্বিঘ্ন সহায়তা দিয়েছে সেজন্য মাস্টারকার্ড তাদেরকে ধন্যবাদ জানায়। মাস্টারকার্ড বরাবরই পার্টনারদের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশে নিরাপদ, সুরক্ষিত ও নিরবচ্ছিন্ন পেমেন্ট ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার লক্ষ্যে মাস্টারকার্ড পার্টনারদের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কাজ করাসহ স্থানীয় অন্যান্য পার্টনারদের সঙ্গেও কাজ করে যেতে চায়।’
দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত মাস্টারকার্ড এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে মাস্টারকার্ড ইনোভেটিভ সলিউশন ও নতুন নতুন উদ্ভাবনসহ ব্যবসায়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি অর্জনে অব্যাহত সহায়তার স্বীকৃতিস্বরুপ পার্টনারদের এই পুরস্কার প্রদান করছে। বাংলাদেশে মাস্টারকার্ড প্রথম পেমেন্ট স্কিম হিসেবে এমএফএস ও কার্ড উভয় সেবার ক্ষেত্রে ইন্টারঅপারেবল কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে প্রথমে বিকাশ ও পরবর্তীতে নগদের সঙ্গে অ্যাড-মানি সেবা চালু করে।
এছাড়াও বিগত বছরগুলোতে মাস্টারকার্ডের পার্টনারদের সহযোগিতায় দেশে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদিত ইন্টারঅপারেবল ন্যাশনাল কিউআর কোড একসেপ্টেন্স সলিউশনের সুযোগ তৈরিতে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেছে।
স্ট্যান্ডার্ড বাংলাকিউআর চালুর মাধ্যমে এমএফএস ও কার্ড উভয় সেবার ক্ষেত্রে ইন্টারঅপারেবল কার্যক্রম পরিচালনার করেছে। মাস্টারকার্ড পার্টনারদের সহযোগিতায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশে প্রথমবারের মতো এই সেবাগুলো চালু করে।
বাংলাদেশে গত ২৯ বছরে কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে ২০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পার্টনারশীপের ভিত্তিতে কাজ করেছে মাস্টারকার্ড। ব্যাংকগুলো হচ্ছে- এবি ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল), ইসলামী ব্যাংক, লঙ্কাবাংলা ফিন্যান্স, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল), সাউথইস্ট ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, দি সিটি ব্যাংক এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি)।