দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ দিনাজপুরের বীরগঞ্জে গাছের সাথে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নিজ বাড়িতেই আরবি শিক্ষক কিশোর মিনহাজকে নিষ্ঠুরভাবে পেটালেন গৃহকর্তা। এ নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ নিজ উদ্যোগে মামলা গ্রহণ করে, নির্যাতনকারী ২ জনকে আটক করেছে।
বৃহস্পতিবার ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি বীরগঞ্জ থানা পুলিশের নজরে আসে। ওই দিনেই থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মতিন প্রধান নির্যাতিত কিশোরের স্বজনদের ডেকে ঘটনার বিস্তারিত শুনে মামলা নেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, করোনা পরিস্থিতির কারণে মাদরাসা বন্ধ থাকায় মিনহাজ আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে- মেয়ে দুই সন্তানকে আরবি শিক্ষা দিয়ে আসছিল।
বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় ছোট মেয়েটি পড়া না পারায় মিনহাজ ছোটমেয়েটিকে চর-থাপ্পড় মারে। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে কাঁদতে কাঁদতে বিষয়টি সে তার মাকে গিয়ে বলার পর পরিবারের লোকজন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে শিক্ষক মিনহাজকে গাছের সাথে বেঁধে বাঁশের লাঠি দিয়ে নির্যাতন করে। জানাজানি হলে এলাকাবাসী মিনহাজকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনোয়ার উল্ল্যাহ্ আহত মিনহাজের হাসপাতালে ভর্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নির্যাতিত কিশোরের বাবা বাদী হয়ে গত ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে বীরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর রাতেই বীরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রধান আসামি আবু বকর সিদ্দিক ও সহযোগী আশরাফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছেন।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন