শেয়ারবাজারকে সাপোর্ট দিতে ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের বন্ড ইস্যু করবে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। বাংলাদেশি টাকায় এর পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা।
এ বিষয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যান এরই মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন। বাজারের সহযোগিতায় এই বন্ডটি দ্রুত ইস্যু করতে চাচ্ছে কমিশন। এ বন্ডে সুইজারল্যান্ডের একটি ব্যাংকের বিনিয়োগ অনেকটাই নিশ্চিত।
বিশাল অঙ্কের এই বন্ড ছেড়ে সংগ্রহ করা অর্থ স্বল্প সুদে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেয়ার পাশাপাশি নিজস্ব ঋণ পরিশোধ ও নিজের পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগ করবে আইসিবি।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠকে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, কমিশনার, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আইসিবির ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল ও শেয়ারবাজার ডিজিটালাইজেশন প্রকল্পের পরামর্শক সুইস নাগরিক মি. জুলিয়ান উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শেয়ারবাজারের উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল চায় বিএসইসি। তবে সেটি পেতে কিছুটা সময় লাগবে। এ সময়ে আইসিবির বন্ডটি শেয়ারবাজারে তারল্য সরবরাহে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘এ বন্ডের কুপন হার হবে ৩ শতাংশ। এর মাধ্যমে আইসিবি যে অর্থ সংগ্রহ করবে, তার মধ্যে ৩ হাজার কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানটি তার উচ্চ সুদের ঋণ পরিশোধে ব্যয় করবে।’
এছাড়া ৪ হাজার কোটি টাকা শেয়ারবাজারের ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে স্বল্প সুদে ঋণ হিসেবে বিতরণ করবে। যাতে ঋণদাতা ওই সব প্রতিষ্ঠান স্বল্প সুদে ঋণ নিয়ে গ্রাহকদের দিতে পারে। এর বাইরে বাকি টাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য আইসিবি রাখবে বলে জানান বিএসইসির মুখপাত্র।
তিনি বলেন, সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকের কাছে ৭ বছর মেয়াদি বন্ড ইস্যু করবে আইসিবি। যাতে করে প্রতিষ্ঠানটি থেকে দীর্ঘসময়ের জন্য শেয়ারবাজারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়া সম্ভব হয়। একইসঙ্গে দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে কম সুদে ঋণ দেয়া যাবে। এতে করে কমিশনের নির্ধারণ করে দেয়া সর্বোচ্চ ১২ শতাংশ সুদে মার্জিন ঋণ প্রদান সহজ হবে।