সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের বড় পতন হয়েছে। এর মাধ্যমে টানা তিন কার্যদিবস বড় দরপতন হলো শেয়ারবাজারে।
এই পতনের বাজারে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও দাপট দেখিয়েছে অ-ব্যাংকিং আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো। অন্য খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দরপতন হলেও আর্থিক খাতের মাত্র তিনটি কোম্পানির শেয়ার দাম কমেছে। বিপরীতে দাম বেড়েছে ১৪টির।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারের এমন দাম বাড়লেও এদিন লেনদেনের শুরু থেকেই অন্য খাতগুলোর বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হতে থাকে। আগের দিনের মতো এদিনও পতনের তালিকায় নেতৃত্ব দেয় ব্যাংক খাত। সেই সঙ্গে বীমা খাতও পতনের তালিকায় নেতৃত্ব দিয়েছে।
আগের দিন দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায় ৪৩টি বীমা কোম্পানি। সেই সংখ্যা আজ ৫টিতে নেমে এসেছে। বিপরীতে দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ৪১টি। আর ব্যাংক খাতের ৬টি প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩টির।
ব্যাংক ও বীমার পাশাপাশি অন্য খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমায় এদিন পতনের তালিকা বড় হয়েছে। দিনের লেনদেন শেষে সব খাত মিলে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় স্থান পেয়েছে ৯০টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪৭টির। আর ১১৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক আগের দিনের তুলনায় ৪৫ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৫৬৪ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ১৬ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১০৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৪৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
মূল্য সূচকের বড় পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭০২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। যা আগের দিন ছিল ৭১৮ কোটি ২২ লাখ টাকা। এ হিসেবে লেনদেন কমেছে ১৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১২৮ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ৪৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৪৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মা।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে ডিএসইতে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- রবি, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, সামিট পাওয়ার, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার, বিকন ফার্মা এবং ওয়ালটন।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৯৯ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১০০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৪০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭১টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৫টির এবং ৬৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।