লকডাউনের প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনও (মঙ্গলবার) লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে।

প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন শুরু হয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে।

ফলে প্রথম ৬ মিনিটের লেনদেনেই ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স-এ ১৬ পয়েন্ট যোগ হয়েছে। সময়ের সঙ্গে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখানো প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা।

এর আগে গতকাল সোমবার লকডাউনের প্রথম দিন মাত্র দুই ঘণ্টার লেনদেনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়ে ৮১ পয়েন্ট। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ায় ডিএসইর বাজার মূলধন ৭ হাজার কোটি টাকার ওপরে বেড়ে যায়।

অবশ্য তার আগে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রোববার সরকার এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করলে সূচকের বড় পতন হয়। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ১৮১ পয়েন্ট পড়ে যায়। বাজার মূলধন কমে ১৫ হাজার কোটি টাকার ওপরে।

এরপর সরকারের নির্দেশনা মেনে ব্যাংকের জন্য নতুন সময়সূচি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। পরে ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় করে শেয়ারবাজারের লেনদেনের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, সোমবার থেকে শেয়ারবাজারে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা লেনদেন হচ্ছে।

নতুন সূচিতে শেয়ারবাজারের লেনদেন শুরু হতেই সোমবার প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়ে যায়। মঙ্গলবারও লেনদেনের শুরুতে একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। গতকালের সঙ্গে সমন্বয় রেখে আজও সময়ের সঙ্গে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বাড়ছে।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০টা ১৬ মিনিটের লেনদেনে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৭ পয়েন্টে বেড়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ ৬ পয়েন্ট বেড়েছে। আর ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ১৮ পয়েন্ট।

এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৩৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩টির। আর ৩৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৫৩ কোটি ৫৮ টাকা।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫২ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেয়া ৩২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩টির, কমেছে ২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭টির।