জাহিদ হাসান, কাহালু (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
করোনায় যখন মানুষ কর্মহীন ঠিক ঐ সময়েই এক কর্মহীন মানসিক প্রতিবন্ধী মোঃ সাইফুল ইসলাম ভল্টু (৪৫), পিতা মৃত আছাদ আলী ফকির এর চিকিৎসার জন্য চায় আর্থিক সহযোগিতা।
বগুড়ার কাহালু উপজেলার কচুয়া গ্রামের যাকে অনেকেই চেনেন ভল্টু পাগলা নামে। গত কয়েক দিন আগে তার পায়ে অসাবধানতার কারনে পুরোনো লোহা ফুটে, পরে তাতে ইনফেকশন হয়ে প্রচন্ড জ্বালা যন্ত্রণার সৃষ্টি হয়। এমতা অবস্থায় কাহালু উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিলেও টাকার অভাবে ঔষধ কিনতে পারছেন না ভল্টু পাগলা। দিন দিন তার ক্ষত স্থানের অবস্থা খারাপের দিকে, জানা যায় সে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত যার ফলে ক্ষত সাড়তে সময় লাগছে। তবে সঠিক ভাবে চিকিৎসা এবং ঔষধ না খেতে পারলে পা হারানোর সম্ভাবনাও রয়েছে ।
এদিকে চিকিৎসার জন্য অর্থনৈতিক ভাবে গ্রামের কতিপয় কিছু লোক সহযোগিতা করলেও তা যথেষ্ট নয়, সঠিক চিকিৎসার জন্য ডায়াবেটিস হাসপাতালে চিকিৎসা নিলে সুস্থ হতে পারেন ভল্টু পাগলা তবে তা অনেক ব্যয় বহুল। তবে সবার পক্ষথেকে একটু আর্থিক সহযোগিতা পেলে সুস্থ হয়ে নতুন জীবন পেতে পারেন সাইফুল (ভল্টু)।
এলাকাবাসী জানান, সে একজন মানসিক রোগী, সবাই তাকে ভল্টু পাগলা বলেই ডাকে। অন্যের বাড়ি বাড়ি সাহায্য সহযোগিতা এবং মাঝে মাঝে নিজেও অন্যের বাড়িতে কাজ করত বলে জানা যায়। তবে মানসিক রোগী হওয়ায় অন্য সবার মতো কাজ করতে না পারলেও তার পরিশ্রম অনুযায়ী টাকা পেতেন। জানা যায় সাইফুল মানসিক প্রতিবন্ধী হলেও তার নেই কোন প্রতিবন্ধী কার্ড।
সাইফুল ইসলাম ভল্টু বলেন, তার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন তবে তার পক্ষে এতো খরচ বহন করা সম্ভব নয়। তাই তিনি সকলের কাছে সহযোগিতা চান।
তবে তার নিজের কোন ফোন না থাকায় তার বিকাশ নাম্বার পাওয়া যায় নি। তাই সংবাদ লেখকের বিকাশ নাম্বার দেওয়া হলো, বিশ্বস্ততা থাকলে মানবিক সেবাই এগিয়ে আসুনঃ ০১৭৭৯৯৪৯৩১৯ (বিকাশ)।
তার বাসস্থান পরিদর্শন করে দেখা যায়, থাকার মতো একটি ঘর যেখানে শুয়ে থেকে দিনের সূর্য আর রাতে চাঁদের আলো দেখা যায় স্পষ্ট, আর একটু বৃষ্টি হলেই টিনের ভাঙা ছাউনি দিয়ে পানি পরে ঘরের মধ্যে। এমনকি ঘরের মাটির দেয়ালও ভেঙে যাবে যাবে ভাব। যেখানে একজন মানুষের পক্ষে বসবাস করা অত্যন্ত কষ্টকর ও বিপদজনক ।
তাই সবার কাছে একটাই আবেদন সবাই নিজেদের অবস্থান থেকে এগিয়ে এসে এক অসুস্থ পাগলের চিকিৎসায় নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী তাকে সহযোগিতা করবেন।