প্রত্যয় নিউজ ডেস্ক : সিলেটে পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান আহমদ হত্যার পর থেকেই আলোচনায় উঠে আসে সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমান নামে কথিত এক সাংবাদিকের নাম।
রায়হান হত্যার প্রধান অভিযুক্ত বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে পালাতে এই নোমান সহায়তা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এছাড়া তিনি রাহয়ানকে ফাঁড়িতে নির্যাতনের আলামত ধ্বংস করে দেন বলেও অভিযোগ ওঠেছে।
ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চললেও এখন পর্যন্ত ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন নোমান। তবে পালিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত বাঁচতে পারেননি নোমান।
বুধবার চাঞ্চল্যকর এই মামলার অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
অভিযোগপত্রে ৫ পুলিশ সদস্যের সাথে নোমানকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার পর বুধবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার খালেদ উজ জামান বলেন, নোমানের বিরুদ্ধে নির্যাতনের আলামত ধ্বংস ও আকবরকে পালাতে সহায়তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নো্মান এখনও পলাতক রয়েছে। তবে তাকে ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে।
পিবাআই সূত্রে জানা যায়, নোমান ও এসআই আকবর পরষ্পরের আত্মীয়। আত্মীয় নোমানের সহায়তায় সিলেট থেকে পালান আকবর। বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সিসিটিভির হার্ডডিস্কও গায়েব করেন তিনি। তবে নানা চেষ্টায়ও তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে তিনি বেশ দক্ষ।
গত ১১ অক্টোবর সকালে মারা যান নগরীর আখালিয়ার বাসিন্দা রায়হান আহমদ (৩৪)। বন্দরবাজার ফাঁড়িতে ধরে এনে নির্যাতন চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ওই রাতেই হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী তামান্না আক্তার।
মামলার পর মহানগর পুলিশের একটি অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত করে নির্যাতনের সত্যতা পায়। ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আকবরসহ চার জনকে ১২ অক্টোবর বরখাস্ত ও তিন জনকে প্রত্যাহার করা হয়।
১৩ অক্টোবর পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়ে যান আকবর। ভারতে পালানোর সময় গত ৯ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে দাবি পুলিশের।
বুধবার জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির বরখাস্তকৃত ইনচার্জ পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অন্য অভিযুক্তরা হলেন, বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির বরখাস্তকৃত সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) আশেকে এলাহি, হাসান উদ্দিন, পুলিশের কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, টিটু চন্দ্র দাস এবং কথিত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমান।