শাহিন আহমদ,সিলেট জেলা সিলেট:
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাইফুল আলম ওরফে লন্ডনি সাইফুলের কোন সন্ধান পাচ্ছে না পুলিশ। ঘটনার ১০ দিন অতিবাহিত হলেও, ধূর্ত এই আসামির অবস্থান শনাক্ত করতে হিমশিম খাচ্ছে আইনশৃংখলা বাহিনী। তাকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণার পরও, এখনও তার সন্ধান দিতে পারেনি কেউ।
পুলিশ সূত্র জানায়, সে খুবই ধূর্ত প্রকৃতির লোক। ঘটনার পর থেকেই বন্ধ আছে সেলফোন। একটি বারও তা সচল করেনি। এছাড়া অবস্থানও পাল্টায় ঘন ঘন। এ জন্যে তার অবস্থান শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তবে, ঘটনার দিন সন্ধ্যায়, সে স্বেচ্ছায় আত্মমসর্পণে রাজি হয়েছিল। পরে সিলেট শহরে বিশ্বনাথের জনৈক আইনজীবীর বাসায় গিয়ে তার পরামর্শে সে আত্মগোপনে চলে যায়। এরপর থেকে লাপাত্তা সে। তবে আজ হোক কাল হোক পুলিশের খাঁচায় আটকাবে সাইফুল। হত্যাকান্ডসহ সম্প্রতি আরও একাধিক ঘটনায় আলোচিত সাইফুলকে ধরিয়ে দিতে প্রবাসীরা ৫ লক্ষ্য টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করেন।
গত ১লা মে প্রতিপক্ষের সাথে সংঘর্ষকালে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের চৈতননগর গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে ও স্থানীয় শাহজালাল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমেলকে হত্যা করে সে। সাইফুল একই গ্রামের মৃত আফতাব মিয়ার ছেলে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রকৃত মৎস্যজীবিদের বঞ্চিত করে উপজেলার সব’চে বড় জলমহাল ‘চাউলধনী হাওর’ ইজারা নিয়ে আলোচনায় আসেন উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের চৈতননগর গ্রামের মৃত আফতাব মিয়ার ছেলে সাইফুল আলম ওরফে লন্ডনি সাইফুল। হাওর ইস্যু নিয়ে জন্ম দেন একাধিক আলোচিত ঘটনার। তার অত্যাচার ও অস্ত্রবাজিতে অসহায় হয়ে পড়েন স্থানীয় কৃষক ও মৎস্যজীবিরা। হাওর পাড়ের মানুষের কাছে ‘মূর্তিমান জলদস্যু’র ন্যায় আর্বিভাব ঘটে তার। সুবিধাভোগী প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় নিজ গ্রামে চৈতননগরে বিস্তার করেন একক আধিপত্য। গড়ে তোলেন নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী। তার পত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে ঘটে একের পর সংষর্ঘ, দখল ও সীমানা প্রচীর গুড়িয়ে দেয়ার ঘটনা।
এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ থানার ওসি শামীম মূসা, প্রাথমিক তদন্তে সাইফুলই স্কুলছাত্রকে গুলি করে হত্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাকে গ্রেফতারে বিশ্বনাথ থানা ও সিলেট জেলা পুলিশ কাজ করছে।