ওয়েব ডেস্ক: আমাদের কৃষির বাজেট কমে নাই। কৃষি ঋণ আগে ১৪ থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা ছিল, প্রস্তাবিত বাজেটে সেটা ২২ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। কৃষি উৎপাদন বাড়াতে ও খরচ কমাতে আমরা যান্ত্রিকীকরণে যাচ্ছি। প্রস্তাবিত বাজেটে ৬৮০ কোটি টাকা রাখা হয়েছে এ খাতে।
শুক্রবার (৪ জুন) অর্থমন্ত্রীর বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা জানান কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমাদের কৃষির বাজেট কমে নাই, আগের তুলনায় বেড়েছে। কৃষির উৎপাদন বাড়াতে ও আমদানি নির্ভরতা কমাতে আমাদের লক্ষ্য কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করা। গ্রামের মানুষের আয় ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করা হচ্ছে। এ খাতে প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থ রাখা হয়েছে।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রথম মেয়াদ থেকে কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি। এবার সরকারের তৃতীয় মেয়াদের তৃতীয় বাজেট। আমরা প্রথম বাজেটে ৫ খাতকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলাম যার প্রথমটি ছিল খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সে লক্ষ্যে খাদ্য শস্যের দাম কমিয়ে আনা, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে নানান উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রথম বছর থেকেই ৮০ টাকা কেজি সারের দাম কমিয়ে ২০ টাকার ঘরে নিয়ে এসেছি। প্রথম বাজেট থেকেই কৃষিখাতে ৯ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়ে আসছি। যেটাকে প্রধানমন্ত্রী কখনও ভর্তুকি বলেননি, এটাকে প্রণোদনা বলেছেন। এর ফলে চালের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ১ কোটি টন। এটা সম্ভব হয়েছে কৃষিখাতে সরকারের নানান রকমের প্রণোদনা-বিনিয়োগের কারণে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের কৃষি কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে একটা লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। গত বছর চালের দাম বেশি ছিল, এবার বোরোর উৎপাদন বৃদ্ধি জন্য এক লাখ হেক্টর বেশি জমিতে বোরো আবাদ করেছি। আমাদের হাইব্রিড ধান উৎপাদনের লক্ষ্য ছিল। এ বছর ৩ লাখ ১২ হাজার হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ধান উৎপাদন হয়েছে।’