নিউজ ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী মহামারী আকার ধারণ করছে করোনা ভাইরাস। তার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশও কম নয়। ১৩ ই মে রেকর্ড ১৯ জন সহ গত ৬ দিনে ৭০ জন এবং মোট মৃত্যু ২৬৯ জনের৷ এই অবস্থায় লকডাউন নিশ্চিত করতে সরকার বন্ধ ঘোষণা করেছেন ক্ষুদ্র বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান। যে কারণে সিলেট সদর উপজেলার ৯০ শতাংশ মানুষ কর্মহীন ও অসহায় হয়ে পড়েছে। দিনের পর দিন ছোটছে মানুষের ধারে ধারে একটু ত্রাণের আশায়। কিন্তু সারা বছর চড়াও সুদে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ঋণ দেওয়া প্রতিষ্ঠান (এনজিও) গুলি এখন লাপাত্তা। কিন্তু তারা তাদের বানিজ্যিক কাজের স্বার্থে সপ্তাহে একবার হলেও ঢাকা থেকে কর্মকর্তাদের নিয়ে আসত বিভিন্ন কেন্দ্রে। সময়মত কিস্তির টাকা না দিলে বড় বড় অফিসারদের আগমন দেখানো হত কিস্তি পরিশোধের জন্য। কিন্তু আজ তারা কোথায়?
সিলেট সদরে বেশ কয়েকটি এনজিও’র ওয়ার্ডভিত্তিক ব্রাঞ্চ ঘোরে দেখা গেল এখন পর্যন্ত তাদের পক্ষ থেকে কোন কর্মকর্তার ফোনও আসেনি। তারা কি করছেন বা কিভাবে আছেন তাও জানতে চাওয়া হয়নি। আশা থেকে ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহণকারী এক ব্যক্তি জানান- ‘তারাতো আমাদের কাছ থেকে টাকা ঠিকই নেয়, কিন্তু এই দুঃখের সময় তাদের কোন খোজই পাইলাম না’।
এমন পরিস্থিতিতে লাপাত্তা হওয়া এই সকল এনজিওগুলোকে খোজে বেড়াচ্ছেন তাদের সদস্যগণ। সিলেট সদরে কাজ করছে- আশা,গ্রামীণ ব্যাংক, ব্রাক।
এর মধ্যে ব্রাক তাদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী সচেতনতামূলক প্রচারণা করছে। আর বাকিরা লাপাত্তা। কেউ কোন সহযোগিতার হাত বাড়াননি এ পর্যন্ত।