ওয়েব ডেস্ক: স্বাধীনতার ৫০ বছরেও দেশে গণতন্ত্র, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন, শোষণ মুক্তি ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়নি বলে মনে করেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া। তিনি বলেন,সাধারণ মানুষের জীবনধারণ অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
শুক্রবার (২৫ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে সোনার বাংলা পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মীরাজুল ইসলাম আব্বাসীর দ্বাদশ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গোলাম মোস্তফা ভূইয়া বলেন, মীরাজ আব্বাসী একটি শোষণমুক্ত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্যই রাজনীতি করেছেন আজীবন। অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেন নাই। যা বিশ্বাস করতেন তা স্পষ্টভাবেই বলতেন। বিশ্বাসের সঙ্গে প্রতারণা করেন নাই।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরেও দেশে গণতন্ত্র, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন, শোষণ মুক্তি ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়নি। সাধারণ মানুষের জীবনধারণ অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তারা প্রায় সব ক্ষেত্রে ন্যায্য অধিকার ও ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত। এসব কিছুই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী।
প্রয়াত মীরাজ আব্বাসীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশ জাসদ সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান বলেন, আনুপাতিক হারে সংসদে প্রতিনিধিত্বের দাবিটি জনপ্রিয় করতে হবে। দাবি আদায়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বর্তমান সরকার প্রমাণ করেছে আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব নয়। জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই পরিবর্তন সম্ভব।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, মীরাজ আব্বাসী জীবনের শেষদিন পর্যন্ত জনগণের মুক্তির জন্য লড়াই করেছেন। অবহেলিত-নির্যাতিত গণমানুষের মুক্তির লড়াইয়ে তিনি ছিলেন সাহসী নেতৃত্ব।
বাসদ কেন্দ্রীয় সদস্য বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, মিরাজ আব্বাসী যে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন সে গণতন্ত্র আজও প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। নির্বাচিত হলেই সরকার গণতান্ত্রিক হয় না। আর এই সরকার তো জনগণের ভোটেই নির্বাচিত না, তারা কীভাবে গণতান্ত্রিক হয়?
সভাপতির বক্তব্যে শেখ আব্দুন নুর বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায়, জনমুক্তির আন্দোলনে মীরাজ আব্বাসীর অসমাপ্ত সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। জনগণের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলনে থাকতে হবে।
সোনার বাংলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সৈয়দ হারুন-অর-রশীদের সঞ্চালনায় আলোচনায় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, জাগপা প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, বাংলাদেশ জনদল চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান জয় চৌধুরী, গণমুক্তি পার্টি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনেম, পিপলস গ্রীণ পার্টি চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ খান, নাগরিক ভাবনা আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।