ডেস্ক রিপোর্ট:
শেরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক মারা গেছেন। আজ শুক্রবার বিকেলে শেরপুর জেলা শহরের নওহাটা খোয়ারপাড় এলাকার শাপলা চত্বরের ফোয়ারায় এ ঘটনা ঘটে।
চালকের স্বজনদের অভিযোগ, কর্তব্যরত এক ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল তাঁর অটোরিকশাটি আটক করে এর সিট সড়কের ফোয়ারায় ছুড়ে ফেলেন। সিটটি ফোয়ারা থেকে তুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। তবে অভিযুক্ত কনস্টেবল বলেছেন, ঘটনাটি তিনি জানেন না এবং এর সঙ্গে তিনি জড়িত নন।নিহত চালকের নাম মো. খোকন মিয়া (২৫)। তিনি জেলার শ্রীবরদী উপজেলার গড়জরিপা ইউনিয়নের গোপালখিলা মধ্যপাড়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে। আজ বিকেলে জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে খোকনের লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে খোকন মিয়া তাঁর অটোরিকশাটি নিয়ে শহরের নওহাটা খোয়ারপাড় এলাকার শাপলা চত্বর মোড়ে আসেন। এ সময় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল শাহিন মিয়া অটোরিকশাটি শহরের ভেতরে প্রবেশে বাধা দেন। এ সময় চালক খোকন তাঁর কাছে ক্ষমা চাইলেও কনস্টেবল অটোরিকশার সিটটি খুলে নিয়ে শাপলা চত্বর মোড়ের ফোয়ারায় ছুড়ে ফেলে দেন। পরে অটোচালক খোকন সিটটি তোলার জন্য ফোয়ারার পানিতে নামামাত্র বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরে স্থানীয় লোকজন খোকনকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা রাহাত মাহফুজ তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে খোকনের আত্মীয়স্বজন, অন্য অটোরিকশাচালক ও সদর থানার পুলিশ হাসপাতালে যান।
সদর হাসপাতালে অবস্থানরত নিহত খোকনের চাচা জাহাঙ্গীর আলম এ ঘটনার জন্য কনস্টেবলের বিচার দাবি করেন।তবে শাহিন মিয়া বলেন, শুক্রবার কর্তব্য পালনের সময় তিনি খোকন বা অন্য কোনো অটোচালক কারও সিট ফোয়ারায় ফেলেননি। ঘটনাটি তিনি জানেন না এবং এর সঙ্গে তিনি জড়িত নন।সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, স্বজনদের মৌখিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে খোকনের লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।