দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ আম্পানের কারণে চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে আবারো বিপদ সংকেত বাড়ানো হয়েছে। আগের ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এর আগে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়।
অযথা মহাবিপদ সংকেত দেয়া হয়নি, ডিমান্ড করেই বিপদ সংকেত দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ। তাই ঘূর্ণিঝড়ের এই বিপদকে ছোট করে দেখে বিপদ না বাড়ানোর অনুরোধ করেন তিনি।
বুধবার (২০ মে) আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ সময় সংবাদকে এ কথা জানান।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গোপসাগরের ৪শ থেকে ৫শ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অবস্থানরত সুপার সাইক্লোনটি উপকূলে পৌঁছাবে আজ বিকেলে। উপকূলীয় এলাকার মানুষ বার বার ফোন করে ঘূর্ণিঝড়টি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছে। সাইক্লোন আম্পান পুরোপুরি আইলার কপি। তাই এর শক্তি নিয়ে সন্দেহ না রেখে এখনই উপকূলবাসীর আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়া উচিত।
শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, রোদ দেখে বিপদ কম মনে করার সুযোগ নেই, ঝড়টি সব মেঘ নিজের কাছে টেনে নেয়ায় এমনটা হচ্ছে। এর প্রভাব থাকবে ২২-২৩ তারিখ পর্যন্ত।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুপার সাইক্লোন ‘আম্পান’ এর কারণে সৃষ্ট দুর্যোগ পরিস্থিতি সব সময় মনিটরিং করছেন বলে জানিয়েছেন তার প্রেস ইউং।
মঙ্গলবার (১৯ মে) রাতে সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান ইহসানুল করিম। এ সময় সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানিয়েছেন বলেও উল্লেখ করা হয়।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোও এই ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন