ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: দলের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে এবং নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন রুহিয়া থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক বদরুল ইসলাম বিপ্লব।
সাংবাদিক বিপ্লব ৯০ এর দশকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে আত্মনিয়োগ করেন এবং দীর্ঘসময় ধরে জনমানুষের সেবায় কাজ করেছেন।একাধারে তিনি রুহিয়া ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।
থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করতে সাংবাদিকতার পাশাপাশি মানবতার সেবায় কাজ করেন। তিনি অসুস্থ মানুষের সেবার পাশাপাশি অসংখ্য মানুষকে বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতার পাশাপাশি শীতার্ত মানুষকে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।করোনাকালে নিজ অর্থায়নে অসংখ্য মানুষকে চাল সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম বিতরন করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় তিনি এবার ১নং রুহিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলেন। সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকায় তার নাম ইউনিয়ন থেকে থানায় এবং থানা থেকে জেলায় এলে জেলা থেকে ঢাকায় নাম যায়। দলীয় মনোনয়ন না পেলেও তিনি জনমানুষের দাবির মুখে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। পরে দলের শৃংখলার কথা ভেবে নির্বাচন হতে সরে দাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। তারই আলোকে সোমবার বিকেলে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট লিখিতভাবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেন।
সাংবাদিক বিপ্লব মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের বিষয়ে বলেন, আমি দলের শৃংখলায় বিশ্বাসী। দল যোগ্য নেতাদের নাম কেন্দ্রে পাঠায়। তাদের মধ্যে একজন মনোনয়ন পাবে আর ২ জন পাবে না এটাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক পানি সম্পদ ও খাদ্য মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন আগামীতে আমাকে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দেবেন এই বিশ্বাসে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। তাছাড়া বিদ্রোহী প্রার্থী হলে দলের দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধারা বিভক্ত হলে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এটা আমি চাইনি।
সাংবাদিক বিপ্লব ২০১৪ সালে ঠাকুরগাও প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং
২০১৪-১৬ সাল মেয়াদে প্রেসক্লাবের দায়িত্ব পালন করেন।