মহিন প্রধান,চাঁদপুর প্রতিনিধি:
করোনা পরিস্থিতিতে চাঁদপুর সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলছে কেনাকাটা। আর বেচাকেনাও বেশ ভালো বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তবে স্বাস্থ্যবিধি কাউকে মানতে দেখা যায়নি। গতকাল চাঁদপুরে বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
কালিবাড়ী হকার্স মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, পুরো মার্কেটের ভেতরে গিজগিজ করছে লোকজন। ক্রেতা বিক্রেতাদের প্রায় সবার মুখে মাস্ক থাকলেও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি কেউ মানছেন না। না বিক্রেতা না ক্রেতা। তবে বিক্রেতাদের চেয়ে ক্রেতাদের স্বাস্থ্য বিধি না মানার প্রবণতাটাই বেশি লক্ষ্যণীয়। ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে জিনিসপত্র দেখছেন। অন্যদিকে বিক্রেতারাও হ্যান্ড স্যানিটাইজ করা কিংবা জীবাণুনাশক স্প্রে করা কোনোটাই চোখে পড়েনি। এক কাস্টমার গেলে আরেক কাস্টমারকে কিভাবে দোকানে বসানো যায় তাই নিয়ে হাক ডাকে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন দোকানিরা।
সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা যায়, জুতার দোকান, শাড়ি আর থ্রীপিসের দোকানে। এরপর, ক্রোকারিস, কসমেটিকস আইটেম ও খাবারের দোকানে। চশমা ও স্বর্ণের দোকানে তেমন একটা ভিড় নেই। আব্দুল রহিম নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, সকাল থেকেই কাস্টমারে কম ছিল। কিন্তু দুপুরের পর থেকেই লোকজন বেশি আসা শুরু করে। ভিড় একটু বেশি ভেতরে। কি করার আছে। সবাই তো মুখে মাস্ক পড়েছে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার রেখেছি কেউ নিতে চায় না।
শুধু হকার্স মার্কেট নয়,চাঁদপুরের অন্যান্য সকল মার্কেটে গিয়ে দেখা গেছে, ক্রেতাদের উপচে পরা ভিড়। আগের মতোই গাদাগাদি করে কিনতে হচ্ছে প্রয়োজনীয় পণ্য, তবে এই ভিড়েও ক্রেতারা মানছে না কোন স্বাস্থ্যবিধি। এদের দেখে বোঝার উপায় নেই যে, গোটাদেশই এখন মহামারির হুমকিতে রয়েছে!
জানা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেও মার্কেট খুলে দেওয়ার কারণ ব্যবসা। তবে খুলে দেওয়ার আগে যথাযত স্বাস্থবিধি মানতে তাদেরকে শর্ত দেওয়া হয়েছিল। বিক্রয়কর্মীরা স্বাস্থ্যবিধি মানলেও মূলত এটি মানছেন না ক্রেতারা।
হাসান নামের এক দোকানি বলেন, বেশিরভাগ লোকজনই থুতনিতে মাস্ক রেখে কথা বলে। দোকানে ঢুকে হাঁচি কাশি দেয়। না করি। সচেতন করার চেষ্টা করি। ওরা শিক্ষিত মানুষ, আমরা সেটা না। এজন্য হয়তো আমাদের কথা শুনে না। তবে অনেকে আবার দারুণ সচেতন। এদেরকে আলাদা ভাবে কিছু বলতে হয় না। এরা বরং উল্টো আমাদের সচেতন থাকতে বলে।
এদিকে নতুন করে লকডাউন দেওয়ার কথা শুনে আবারও চিন্তিত হয়ে পড়েছে দোকান-মালিকরা। তারা বলছেন, লকডাউন দোকান খুলতে না পারলেও মোটা অঙ্কের ভাড়া গুনতে হবে তাদের। এই ভাবে গেল বছর রাস্তায় বসার দশা হয়েছিল তাদের। এবার যেন এটি না হয়।