দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ তাড়াহুড়ো করে লকডাউন তোলা নিয়ে করোনা আক্রান্ত দেশগুলিকে আগেই সতর্কবার্তা দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। কিন্তু তাই বলে তো বছর জুড়ে এভাবে ঘরবন্দি থাকা সম্ভব নয়। টানা লকডাউনের ফলে বহু মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। তাই অনেক দেশই এবার বন্দিদশা কাটিয়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশও সেই দেশগুলির মধ্যেই একটি। যে সমস্ত দেশ এবার লকডাউন শেষ করে বেরিয়ে আসতে চাইছে তাদের সতর্ক করল হু।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইয়েসুস বলছেন, লকডাউন যদি তুলতেই হয়, তাহলে তা তুলুন অতি সাবধানে। না হলে, একলাফে অনেকটা বেড়ে যেতে পারে আক্রান্তের সংখ্যা।
তিনি স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন যাতে বেশি সংখ্যক মানুষের জীবন বাঁচানো যায়। করোনা আক্রান্ত দেশগুলোকে করোনার সংক্রমণ রোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ও বিধিনিষেধ আরোপে আরো সতর্ক হতে হবে বলেও জানান সংস্থাটির প্রধান।
এছাড়া, লকডাউন তুলে নিলে বা শিথিল করলে ভাইরাস ফিরে আসার প্রবণতা রয়েছে বলেও সংস্থাটির পক্ষ থেকে বিশ্বনেতাদের সতর্ক করা হয়।
এরই মধ্যে ইতালি, স্পেন ও জার্মানির লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। এমনকি আক্রান্ত ও মৃত্যুর তালিকায় শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রও লকডাউন শিথিল করায় ভবিষ্যতে করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করেছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশে গার্মেন্টস, কলকারখানা, দোকানপাট, শপিংমল, মসজিদ খোলা হচ্ছে। যদিও করোনাভাইরারেস পরিস্থিতি স্বাভাবিক তো দূরের কথা প্রতিদিনই রেকর্ড পরিমাণে লোক আক্রান্ত হচ্ছেন।
উল্লেখ্য, বিধিনিষেধের আওতায় থাকা দেশগুলিকে আগেই লকডাউন তোলার গাইডলাইন ধরিয়ে দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সেই গাইডলাইন মেনেই লকডাউন তোলার পরামর্শ দিচ্ছে তারা। গাইডলাইনটিতে বলা ছিল, লকডাউন তুলতে হলে অন্তত ৬টি বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
১) সংক্রমণ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে।
২) স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিকাঠামো এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যে, সংক্রমণ হলেও আক্রান্তদের সনাক্ত করে তাদের পরীক্ষা, আইসোলেশন এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যাবে।
৩) হাসপাতাল বা নার্সিং হোমগুলিতে সংক্রমণ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে।
৪) স্কুল, অফিসের মতো প্রয়োজনীয় জায়গায় করোনা প্রতিরোধ করার মতো পরিকাঠামো তৈরি হয়ে গিয়েছে।
৫) কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হলে তা সামলে দেয়ার জন্য প্রস্তুতি চূড়ান্ত।
৬) নতুন স্বাস্থ্য বিধি সম্পর্কে সকলে সচেতন এবং এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে প্রস্তুত।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন