জসিম তালুকদার (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নে ফাতেমা বেগম (৪২) নামের এক নারী কবিরাজ বৈদ্যকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার (১২ জুলাই) সকালে উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোস্তাক আহমদের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তাবিজে কাজ না করায় মো. এহসান (২৫) নামের ক্ষুব্ধ এক যুবক এ ঘটনা ঘটায়।
এ ঘটনায় নিহত কবিরাজ বৈদ্য ফাতেমা বেগমের মেয়ে ও প্রতিবেশী সহ তিন জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ অভিযুক্ত যুবক মো. এহসান (২৫)কে আটক করেছে। এহসান ৬ নম্বর ওয়ার্ড মাইজ পাড়া এলাকার মো. ইব্রাহীম প্রকাশ বদর আমিনের ছেলে। বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিউল কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ফাতেমা বেগম নামে ওই কবিরাজের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। ঘটনার পরপর অভিযুক্ত এহসানকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ফাতেমা বেগম একজন স্থানীয় কবিরাজ বৈদ্য। আজ ১২ জুলাই সোমবার সকালে ফাতেমার বাড়িতে গেলে একটি ডাব খেতে দিলে সেই ডাব কাটার সময়ে ফাতেমা বেগমকে কুপিয়ে জখম করে। এসময় ফাতেমার মেয়ে পাখি আক্তার (২২), প্রতিবেশী রাবেয়া বেগম (৩৫) ও ১০ বছরের বৃষ্টি এগিয়ে গেলে তাদেরও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সেখানে ফাতেমা আক্তারকে মৃত ঘোষণা করে বাকিদের ২৬ নম্বর অর্থোপেডিক্স ওয়ার্ডে ভর্তি করেন।
স্থানীয় সূত্র জানা গেছে, কবিরাজ বৈদ্য ফাতেমা বেগম থেকে এক মেয়েকে বশ করতে তাবিজ নেয় এহসান নামে ওই যুবক। তবে তাবিজে কাজ না হওয়ায় পরবর্তীতে সে আরও তাবিজ নিতে থাকে বৈদ্য ফাতেমা থেকে। আজ সোমবার আবার সকালে একটি মন্ত্র পড়ানো ডাব খেতে দিলে ওই ডাব কাটার দা দিয়ে কুপিয়ে বৈদ্য ফাতেমা বেগমকে কোপায়। এসময় অন্যান্যরা উদ্ধারে এগিয়ে এলে তাদেরও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক শীলব্রত বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সকালে বাঁশখালী থেকে চারজনকে গুরুতর জখম অবস্থায় আনা হয়। এদের মধ্যে ফাতেমা বেগম নামে একজনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বাকিরা হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।