নরসিংদী প্রতিনিধি : মহিষাশুড়া ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহিনের উদাসীনতায় বিগত পাঁচ বছরের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় গত চার দিন ধরে নরসিংদীর মাধবদী থানার অন্তর্গত মহিষাশুড়া ইউনিয়ন পরিষদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে একই ভবনে থাকা ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সেবা প্রত্যাশীরা। এবং এখন পর্যন্ত তার পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।
নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর অফিস জানায়, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত মহিষাশুড়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ লাখ ৫৩ হাজার ৪ শ ২৩ টাকা বিদ্যুৎবিল বকেয়া রয়েছে। এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ অফিস থেকে চেয়ারম্যানের সাথে বারবার যোগাযোগ করা হলেও কাঙ্ক্ষিত সাড়া পাওয়া যায়নি।
অবশেষে বকেয়া বিল অনাদায়ী সংযোগ বিচ্ছিন্ন অভিযানে গত ১১ জুন মহিষাশুড়া ইউনিয়ন পরিষদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। তারপরও এখন পর্যন্ত ইউপি চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ অফিসে কোনো প্রকার যোগাযোগ করেননি বলে দৈনিক অধিকারকে জানান নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মহিউদ্দিন মোশাহিদুল্লাহ।
তিনি বলেন, গত পাঁচ বছর ধরে অনাদায়ী উক্ত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের সর্বোচ্চ সুযোগ দেয়া সত্বেও ইউনিয়ন পরিষদ তা আমলে নেয়নি, অবশেষে বাধ্য হয়েই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
এদিকে, চেয়ারম্যানের এমন উদাসীনতায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও সেবা প্রত্যাশীরা।
২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাফিউদ্দিন জানান, প্রতিদিনই অনেক লোক জন্ম নিবন্ধন, মৃত্যু সনদসহ জরুরি পরিষেবা নিতে এসে বিদ্যুতের কারণে নিরাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। এতে ইউনিয়ন সংশ্লিষ্ট সবার সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে কথা বলতে ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহিনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
ইউনিয়ন পরিষদের সচিব শাহাদাত হোসেন জানান, পূর্ববর্তী চেয়ারম্যানের আমল থেকেই পরিষদের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। ইউনিয়নে বৈদ্যুতিক অফিসের একটি সাবস্টেশনের ট্যাক্স ও বেশকিছু বৈদ্যুতিক খুঁটির ভাড়া বাবদ পাওনা টাকার সুরাহা না হওয়ায় বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়ে। তবে এমন দাবিকে অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ডিজিএম মহিউদ্দিন মোশাহিদুল্লাহ।