বদরুল ইসলাম বিপ্লব, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: লকডাউন ঘোষনার পরেও করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় প্রশাসনের তৎপরতা বৃদ্ধি করায় ৪র্থ দিনে কঠোরভাবে লকডাউন পালন করতে দেখা গেছে। ট্রাফিক পুলিশ চেকপোষ্ট বসিয়ে গাড়িঘোড়া ও পথচারীদের জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনায় জনসমাগম অনেকটা কমেছে।
ঠাকুরগাঁও জেলায় করোনার সংক্রমন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে করোনা ওযার্ডে রোগীদের ভীড় বেড়েই চলেছে। এ অবস্থায় লকডাউন কার্যকরে প্রশাসন তৎপরতা বৃদ্ধি করায় লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকর হতে দেখা গেছে। ৪র্থ দিনে রোববার শহরের চৌরাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের চেকপোষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতায় গাড়ি চলাচল ও পথচারীদের চলাচল কমে গেছে। এছাড়াও জেলা তথ্য অফিস, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগণের পক্ষ থেকে মাইকে ব্যাপক প্রচারণা চলছে। থানা পুলিশ জনসমাগম রোধে কঠোর অবস্থানে থাকায় এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণ ভ্রাম্যমান আদালতে লকডাউন অমান্যকারীদের জরিমানা করায় ৪র্থ দিনের মাথায় কঠোরভাবে লকডাউন কার্যকর হতে দেখা গেছে।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা সংক্রমিত হয়ে আরো ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মৃত্যের সংখ্যা দাঁড়াল ৭২ জনে। এছাড়াও ২৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১২০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় সর্বমোট করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ২৯৬৯ জনে। সংক্রমনের হার ৪৫ দশমিক ২৮ শতাংশ।
উল্লেখ্য, লকডাউন অমান্য করায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণ জেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৩৪ টি মামলায় বিভিন্ন জনকে ২৩ হাজার ৭০০ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন।
জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান জানান, মানুষকে বাচাতে আমরা সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করব। বিনা প্রয়োজনে কেউ বাড়ির বাইরে বের হলে জরিমানার আওতায় আসবে। কাজেই রাস্তায় বের হবেন নাকি জরিমানা দেবেন সিদ্ধান্ত আপনার।