ওয়েব ডেস্ক: বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে জড়িত নির্বাচন কমিশনার, পুলিশ কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবার বিচার করতে হবে। ওই নির্বাচনের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে পরবর্তীতে একের পর এক জালিয়াতির নির্বাচনের মাধ্যমে ১৬ বছর শাসন করেছে। এই সময়ে হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, লাখ লাখ নেতাকর্মীকে জেল-জুলুম-নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।
শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকেলে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার পিপরুল ইউনিয়ন জাতীয়তাবাদী কৃষক দল আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দুলু বলেন, ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি তার লিখিত বইয়ে ২০০৮ সালের নির্বাচনে কারচুপির বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। তাই শুধু ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের অবৈধ নির্বাচনে জড়িতদের বিচার নয়, ২০০৮ সালের নির্বাচন ও ১/১১ এর কুশীলবদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।
ভোট পদ্ধতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সরাসরি ভোট দিয়ে তাদের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে চায়। তারা পিআর বা সংখ্যানুপাত পদ্ধতির নির্বাচন চায় না। বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফার মধ্যেই রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা রয়েছে। সেই সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে।
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে দুলু বলেন, গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং তাদের দোসররা দেশের মানুষের ওপর দুঃশাসন চালিয়েছে। এখনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা ষড়যন্ত্র করে চলেছে। এসব ষড়যন্ত্র সম্পর্কে দেশের মানুষকে সজাগ থাকতে হবে।
স্থানীয় শ্যামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত ওই জনসভায় পিপরুল ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি শাহজাহান আলীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন দুলুর সহধর্মিণী ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি সাবিনা ইয়াসমিন ছবি, জেলা মহিলা দলের সভাপতি ও সাবেক এমপি সুফিয়া হক, নাটোর পৌরসভার সাবেক মেয়র কাজী শাহ আলম, জেলা যুবদল সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আবু হেনা মোস্তফা কামাল ও সদস্য সচিব হাসান আলী প্রমুখ।