এইচএচসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর প্রিয় ক্যাম্পাসের সামনে এসেছেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী রাহনুমা রুয়েদ। ছোট বোনকে সঙ্গে নিয়ে ঘোরাঘুরি করছিলেন। এসময় ছবিও তুলছিলেন দুই বোন মিলে। কলেজ গেটের সামনে বেশ কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটিও করতে থাকেন। তবে তাদের চলাফেরায় কোনো উচ্ছ্বাসের ছাপ ছিল না।
পরিচয় দিয়ে কথা বলতেই রাহনুমা বলেন, ‘অনেকদিন পর এমনিই বের হয়েছি। আর কলেজের সামনেও আসলাম। এমন একটা দিনে আসতে না পারলে আসলে কেমন জানি লাগে! এখানে আসতে তো ভালো লাগেই। আর রেজাল্ট প্রকাশের দিনে তো অন্যরকম ভালো লাগে। এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের সময়ও কতো আনন্দ, উচ্ছ্বাস করেছি। আজ তো কেউ নেই, আসবেও না। আর কলেজের কিছু ছোটবোন আসবে তাদের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা আছে।’
ফলাফল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জিপিএ-৫ পেয়েছি। করোনা পরিস্থিতির কারণে আমরা তো পরীক্ষা দিতে পারিনি। পরীক্ষা দিয়ে ফলাফল পাওয়ার আনন্দই অন্যরকম। আর মূল্যায়নটাও আলাদা হয়। দুই বছর পড়াশোনা করে পরীক্ষায় বসতে পারার মাঝে ভাললাগা থাকে। তারপরও এই পরিস্থিতিতে এমন ফলাফলেই খুশি হতে হচ্ছে।’
পরিবার ও আপনার কাছে জিপিএ-৫ ফলাফল কেমন মনে হচ্ছে- এমন প্রশ্নের উত্তরে বিজ্ঞান বিভাগের এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘এমন ফলাফলে আসলে সেই খুশিটা সবার মাঝে থাকে না। বলা যায়, অটোপাসে সেই উচ্ছ্বাস নেই!’
ভবিষ্যৎ ভাবনা সম্পর্কে রাহনুমা বলেন, ‘অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় বসতে চাই। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার আগ্রহ আছে, আশা করি সেই আশাও পূরণ হবে।’
এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে এবারের ফল অনলাইনে প্রকাশিত হয়। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জমায়েত না হওয়ার নির্দেশনাও দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল করা হয়। পরীক্ষা নেয়ার পরিবর্তে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফল মূল্যায়ন করে এইচএসসির ফলাফল নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। অবশেষে মহামারি আতঙ্কে পার করা বছরের এইচএসসি ও সমমানের ফলাফল আজ সাড়ে ১০টায় প্রকাশ করা হয়। তবে ফল প্রকাশের দিনে রাজধানীর কলেজগুলোতে ফল প্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের কোনো উপস্থিতি ছিল না।