অনিমেষ ইদানীং বড়ো আনমনা
লতিফুর রহমান
অনিমেষ ইদানীং বড় আনমনা।
আমি জিজ্ঞেস করলাম, অনিমেষ কেমন আছ?
সে চুপচাপ কিছু বলে না। ফ্যাকাসে, বিবর্ণ তার মুখ।
বললাম, মিথিলা কি এখনো তোমাকে ভালোবাসে?
এবার সে তাকায় আমার দিকে, যেন সে ক্লান্ত, পরিস্রান্ত,
দু পা ভারী-ভারী পথিকের মতো।
জানিনা।
তার জবাব অবশেষ।
বল্লাম, মিথিলার সাথে কথা হয়?
শুনেই, তার শুভ্রবদন, ছেয়ে গেল অনামিশায়,
যেন ভাদ্রের ঘন বাদলা জমেছে তার বুকে,
মেঘে ছেয়েছে তার সারা আকাশ,
জমিনে তার লেগেছে ছাপ, তামাটে বর্ণ,
করেছে ধারণ, পুড়েছে অংগারে।
একটা হাজার বছরের পুরনো চেপে রাখা দীর্ঘশ্বাস,
তার বুকের গহীন অন্ধকার থেকে বেরিয়ে পড়লো,
দেখি, তার আঁখি পেরিয়ে, গড়িয়ে পড়া দু ফোঁটা জল,
এরপর তার মুখ বেরিয়ে এলো,
জানিনা সে আমাকে ভালোবাসে কি না,
মিথিলা ইদানীং অকারণে এড়িয়ে চলছে আমায়,
তার একটা জবাব পেতে অপেক্ষা করতে করতে,
দুচোখ ফুলে যায়, ঘেমে ঘেমে অস্তির হয়ে যাই।
মিথিলা কে একমুহূর্তে না দেখে কত অস্তির হয়ে যাই,
তুমি জানো?
মিথিলা জানে, তবুও সে বহুকাল আসেনি মুখোমুখি।
মিথিলা জানে না আমি পড়ে গিয়ে রক্তাক্ত এখন,
সে খবর নেয়নি।
মিথিলা ভালো নেই তা জানি, কেন ভালো নেই তা বলেনি।
কতটা ব্যাকুল হয়ে গেছি মিথিলা জানে না, বোঝে না কেন?
মিথিলা আমার শক্তির উপাসনা,
মিথিলা আমার কবিতা,
তুমি বলে দিও মিথিলাকে,
অনিমেষ ইদানীং বড় আনমনা।