সপ্তাহখানেক আগে ক্লাসরুমে মহানবীর ব্যাঙ্গ কার্টুন প্রদর্শন করেন স্যামুয়েল পেটি নামে এক শিক্ষক। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তার শিরশ্ছেদ করে এক চেচেন শিক্ষার্থী।
এ ঘটনার পরই উত্তপ্ত ফ্রান্স। ৫০টি মসজিদসহ মুসলিম অধুষ্যিত এলাকায় কথিত উগ্রবাদী ধরতে সাঁড়াশি অভিযানে নামে ফরাসি নিরাপত্তা বাহিনী। ফ্রান্সের সরকারি ভবনে টানানো হয়েছে নবীজির ব্যাঙ্গ কাটুর্ন। প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রো ঘোষণা দেন, আগামীতে অব্যাহত রাখা হবে মহানবীর ব্যঙ্গ কার্টুন প্রদর্শন।
ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘ইসলামপন্থীরা আমাদের ভবিষ্যৎ দখলে নিতে চায়; তবে এটা কখনোই হতে দেয়া হবে না। অবশ্যই এ ধরনের কার্টুন আকা অব্যাহত রাখবে ফ্রান্স।’
এ মন্তব্যের জন্য ম্যাক্রোকে মানসিক ভারসাম্যহীন আখ্যা দেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় এরদোয়ানকে সন্ত্রাসী বলেন নেদারল্যান্ডসের এক রাজনীতিক। আর ম্যাক্রোর পক্ষে একাট্টা দেশটির রাজনীতিবিদরা।
সট: তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, ‘আমাদের ধর্মগ্রন্থ ফ্যাসিবাদের শিক্ষা দেয় না। বরং জার্মানি ও ইতালি ফ্যাসিবাদ দেখেছে। পবিত্র কোরআন সামাজিক ন্যায়বিচারের কথা বলে।’
জার্মানির বার্লিনেও একটি মসজিদে সাঁড়াশি অভিযানে নামে পুলিশ।
ফ্রান্সসহ ইউরোপজুড়ে মহানবীকে অসম্মানের প্রতিবাদে ক্ষোভে ফুঁসছে মুসলিম দেশগুলো। রোববার, বিক্ষোভ হয় কুয়েত, সিরিয়া, লিবিয়া, তুরস্ক ও ফিলিস্তিনে। সুপারশপ থেকে এরই মধ্যে ফরাসি পণ্য সরিয়ে ফেলা হয়েছে জর্ডান, কাতারও কুয়েতে। হ্যাশট্যাগে ফরাসি পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ‘ক্যারফুর’ বয়কটের আহ্বান চলছে সৌদিতে।
একজন বলেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.) আমাদের নেতা। তাকে এমন অবমাননা কোনো মুসলিমই মেনে নিতে পারে না।
আরেকজন বলঝেন, ‘ফরাসি প্রেসিডেন্ট আমাদের হৃদয়ে আঘাত করেছেন। ইসলাম শান্তির ধর্ম; তিনি ইসলাম ও উগ্রবাদকে মিলিয়ে ফেলেছেন। এটা ঠিক না।’
শেষমেষ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে ফরাসি পণ্য বর্জনের প্রচারণা বন্ধের আহবান জানান ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।