ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। মামলার সবশেষ সাক্ষী হিসেবে বুধবার আদালতে সাক্ষ্য দেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম। পরে তাকে জেরা শুরু করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। আজ বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) তদন্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামকে জেরা শেষ করে আসামিপক্ষ।
তার সাক্ষ্য ও জেরার মধ্য দিয়ে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ করে রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর আদালত আগামী ২৭ জানুয়ারি আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য দিন ধার্য করেন। চাঞ্চল্যকর এ মামলায় ৩৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায়কে ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে জখম করে। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
২৭ ফেব্রুয়ারি অভিজিতের বাবা শিক্ষাবিদ অজয় রায় শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারীর আদালতে ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম। মামলায় ৩৪ জনকে সাক্ষী করা হয়।
১১ এপ্রিল ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান ছয় আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) গ্রহণ করেন। ১ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক মো. মজিবুর রহমান।
মামলার আসামিরা হলেন- মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে জিয়া, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আকরাম হোসেন ওরফে আবির, মো. আরাফাত রহমান ও শফিউর রহমান ফারাবি।