রাকিব শান্ত, উত্তরবঙ্গ ব্যুরো প্রধান:
পুকুরের মাটি ভরাট করে ১ বছর যেতে না যেতেই ৮ ফিট গলি রাস্তায় ৬ তলার প্লান পাশ করিয়ে আকাশচুম্বী ভবন (৮ম তলার ছাদ ঢালাই কাজ চলমান) নির্মান করছেন ভবন মালিক। ২য় তলা থেকে ভবনের অংশ বৃদ্ধি করিয়ে ভবন সংলগ্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান পাবলিক হেলথের কোয়ার্টার এর সীমানা প্রাচীর এর উপর দিয়ে তার ভবনটি আকাশ ছুতে চলেছে।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় জনগণ বগুড়া পৌরসভায় মৌখিক অভিযোগ দিয়েছিল। তার প্রেক্ষিতে পৌরসভার টাউন প্লানার কর্মকর্তা জনাব মেহেদী ঝুঁকি বিবেচনা করে জনস্বার্থে নির্মান কাজ বন্ধ করতে বলেন। কিন্তু ক্ষমতার জোরে তার নির্দেশ কে অমান্য করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ভবন মালিক।
কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্যকরে ঝুকিপূর্ণ ও বেপরোয়াভাবে সরকারি প্রতিষ্ঠানের জায়গার সীমানা প্রাচীরের উপর দিয়ে ক্ষমতার জোরে এভাবে যিনি ভবন নির্মান করে যাচ্ছেন তিনি একজন হেডমাস্টার। ভবনটির মালিক বগুড়া সেন্ট্রাল হাইস্কুলের হেডমাস্টার বলে জানা গেছে। তার সাথে আরও কয়েকজন পার্টনার রয়েছেন বলে জানা গেছে।
স্কুলের সাবেক সভাপতি জেলা আওয়ামিলীগ এর প্রভাবশালী নেতার খাস লোক হবার সুবাদে হেডমাস্টার মহোদয় এমন কাজ করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
বগুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথা সংলগ্ন সেউজগাড়ির মতো এলাকায় যেখানে জায়গার দাম আকাশচুম্বী সেখানে জায়গা ক্রয়করা সহ নানান বিষয়ে ইতোপূর্বে এই ভবনের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে গেলে তিনি সেই আওয়ামিলীগ নেতার পরিচয় ব্যবহার করেন ও সাংবাদিকদের উপরে চাপ সৃষ্টি করেন।
এর আগেও এই হেডমাস্টার এর বিরুদ্ধে স্কুলের মালিকানার দোকানঘরে ও ছাত্রাবাসে নিজ শ্যালকের ব্যবসায়ীক কার্যক্রম পরিচালনা করার অভিযোগ উঠেছিল। তখন তিনি স্কুলের সভাপতির নির্দেশে ছাত্রাবাস থেকে শ্যালকের ব্যবসায়িক মালামাল সরিয়ে নেন।
স্থানীয় সচেতন এলাকাবাসীর দাবী আশেপাশের মানুষের জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে ঝুঁকিতে থাকা ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের জায়গার সীমানা প্রাচীরের উপরে নির্মাণ করা এই ভবনের অবৈধ অংশের নির্মান কাজ অবিলম্বে বন্ধ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হোক।