ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: বিজিবি এবং বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলনে যোগ দিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন বিএসএফের মহাপরিচালক রাকেশ আস্তানা। গতকাল বুধবার দুপুর পোনে একটায় তাঁর নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আখাউড়া-আগরতলা আন্তর্জাতিক চেকপোষ্টে এসে পৌঁছেন। এসময় সীমান্তের নো ম্যানস ল্যান্ডে বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফ মহাপরিচালককে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান বিজিবির রিজিওন কমান্ডার (সরাইল রিজিওন) বিগ্রেডিয়ার জাকির হোসেন। বিএসএফ প্রতিনিধি দলেন ছিলেন এডিজি পঞ্চজ কুমার সিং, ডিআইজি শ্রী ব্রজেশ কুমার এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি সুশীল কুমার।
পরে আন্তর্জাতিক চেক পোষ্টে (আইসিপি) বিজিবির একটি চৌকশ দল বিএসএফ মহাপরিচালক রাকেশ আস্তানাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। পরে বিএসএফ মহাপরিচালক বিজিবির হাতে মিষ্টি ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির কুমিল্লা সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল এবিএম মহিউদ্দিন, ২৫ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লেঃ কর্ণেল ইকবাল হোসেনসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরে বিএসএফ মহাপরিচালক সড়ক পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুলতানপুরস্থ ৬০ বিজিবির ব্যাটালিয়নে গিয়ে সেখান থেকে হেলিকপ্টার যোগে ঢাকায় যান।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন আনুষ্ঠানিকভাবে বৃহস্পতিবার সকালে পিলখানায় বিজিবি সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষ শুরু হবে। বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে অংশ নেবেন ১৩ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল। ভারতীয় প্রতিনিধি দলে বিএসএফ সদর দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা রয়েছেন। আগামী শনিবার সম্মেলন শেষে বিএসএফ প্রতিনিধি দল ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ডিজি পর্যায়ের এ সম্মেলন ১৩ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর ৬ দিনব্যাপী হওয়ার কথা ছিল। নয়াদিল্লি এবং কলকাতা টু ঢাকার সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকায় নিজস্ব এয়ারক্রাফটে ঢাকায় আসার কথা ছিল বিএসএফ প্রতিনিধি দলের। কিন্তু ১৩ সেপ্টেম্বর এয়ারক্রাফটের কারিগরি ক্রটির কারণে প্রতিনিধি দলটি নির্ধারত সময়ে আসতে না পারায় সম্মেলন পিছিয়ে যায়।