1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

আগাম ফুলকপি চাষে লাভবান ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষক জাকির হোসেন

  • Update Time : রবিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২০
  • ৩৪৩ Time View

প্রত্যয় ডেস্ক, বদরুল ইসলাম বিপ্লব, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে ও সহায়তায় উপজেলার কৃষকরা আগাম জাতের ফুলকপি চাষ করে ভালো দাম পাচ্ছেন।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শিবগঞ্জ বিমানঘাঁটি এলাকার কৃষক জাকির হোসেন জানান, ধান-গম চাষ করে আমরা খুব একটা লাভবান হতে পারিনি।

ধান চাষ করে লোকসান গুনতে হয়। তাই ফুলকপি চাষ করছি। শীতকালে ফুলকপির ভরা মৌসুমে দাম একটু কম হয়। তবে অন্য সময়ে বেশ ভালো দাম পাওয়া যায়।

তাই আমরা সারা বছরই এখন ফুলকপি চাষ করছি।
তিনি আরো জানান, এবছর আমি দুই বিঘা জমিতে আগাম জাতের ফুলকপির চাষ করেছি।

প্রতি বিঘায় প্রায় ৬ হাজারের মতো গাছ রয়েছে। খরচ হয়েছে বিঘাপ্রতি ৮-১০ হাজার টাকা। বাজারে এখন যে দাম রয়েছে তাতে আমি বিঘাপ্রতি ৬০-৭০ হাজার টাকা পাবো।

আসাদুল হক নামে অপর এক কৃষক বলেন, অন্য ফসলের তুলনায় ফুলকপি চাষ অধিক লাভজনক। আমি দেড় বিঘা জমিতে আগাম ফুলকপি চাষ করেছি। জমি থেকেই পাইকারী ক্রেতারা ৩০-৩৫ টাকা কেজি করে ফুলকপি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রায় এক বিঘা জমিতে ৬০-৭০ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে।

চাষীরা জানান, এখানকার ফুলকপি ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটে রপ্তানি করি। এছাড়া স্থানীয় হাট-বাজার ও ঠাকুরগাঁও শহরেও বিক্রি করি। ধান, গম, ভুট্টা, আলু, পেঁয়াজের তুলনায় অধিক লাভ এই আগাম ফুলকপিতে। তাই এই ঠাকুরগাঁও অঞ্চলের মানুষ এখন ফুলকপি চাষে ঝুঁকছে।

একই এলাকার কৃষক মারুফ আহমেদ জানান, স্থানীয় বাজারের চেয়ে বাইরে ভালো দাম পাওয়া যায়।তাই উদপাদিত ফুলকপি জেলার বাইরে বাজারজাত করা হয়। এছাড়াও কৃষি বিপণন কেন্দ্রের মাধ্যমে আমরা ন্যায্য মূল্যে ফসলাদি বিক্রি করতে পারছি। সমবায় ভিত্তিকও ফুলকপিসহ অন্যান্য সবজি চাষাবাদ করে অন্য জেলায় বিক্রি করি। এতে সবজির ন্যায্য মূল্য পেয়ে লাভবান হচ্ছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এই অঞ্চলের আবহাওয়া ও মাটি সবজি চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এছাড়া কৃষি বিভাগের পরামর্শে এই অঞ্চলের মানুষ আধুনিক চাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছেন। চাষিরা আগাম জাতের ফুলকপি চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন। ফলে তারা ফুলকপি চাষের দিকে ঝুঁকছেন।

সাধারণত শীতকালেই আগাম, মধ্যম ও নাবী মৌসুমে বিভিন্ন জাতের ফুলকপি আবাদ করা যায়।এসব ফসলে কৃষকরা লাভবান হয় বেশি।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..