1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

ঠাকুরগাঁওয়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বেশিদামে রাসায়নিক সার বিক্রির অভিযোগ

  • Update Time : শুক্রবার, ৬ আগস্ট, ২০২১
  • ২৮৭ Time View

বদরুল ইসলাম বিপ্লব, ঠাকুরগাঁও থেকে: ধানের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে আমন ধানের চারা রোপনের মওসুম চলছে। কৃষকরা বর্তমানে বীজতলা হতে চারা উত্তোলন ও রোপনের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মোটকথা ধানক্ষেতে চলছে পরিচর্যার কাজ। এ সময় আমনের ক্ষেতে সার প্রয়োগের উপযুক্ত সময়। কিন্তু ব্যবসায়ীরা সারের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করছেন।লকডাউনে অতিরিক্ত গাড়িভাড়ার অজুহাতে ব্যবসায়ী ও ডিলাররা নির্ধারিত মূল্যের চাইতে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

চলতি বছর ঠাকুরগাঁও জেলায় ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চারা রোপনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১ লক্ষ ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপন করা হয়েছে। আর আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লক্ষ ৯৭ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন চাল। আমন ফলনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে নিয়মিত সার প্রয়োগ ও পরিচর্যা করতে হবে।
এদিকে গত এক সপ্তাহ হতে জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে দেখা দিয়েছে রাসায়নিক সারের সংকট। ব্যবসাযীরা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে কৃষকদের নিকট ইউরিয়া ৮০০ টাকা স্থলে ৯০০ টাকা, এমওপি ৭৫০ টাকার স্থলে ৮৫০-৯০০ টাকা, ডিএপি ৮০০ টাকার স্থলে ১ হাজার টাকা এবং টিএসপি ১১০০ টাকার পরিবর্তে ১২’শ হতে ১৩’শ টাকা দরে বিক্রি করছেন। এ কারণে অনেক কৃষক চাহিদা মোতাবেক সার কিনতে না পেরে ফিরে আসছেন। অথচ জেলায় বিসিআইসি ডিলার ৬৩জন এবং বিএডিসি ডিলার ১৪৮ জনের গুদামে মজুদ রয়েছে।

কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য মতে, জেলায় এখন পর্যাপ্ত ইউরিয়া ১ হাজার ৬৩ মেট্রিক টন, টিএসপি ২শ ৭ মেট্রিক টন, ডিএপি ৩৯৯ মেট্রিক টন, এমওপি ৪শ ১৮ মেট্রিক টন সার মজুদ আছে।

ঘনিমহেশপুর গ্রামের চাষী জহির উদ্দীন, আব্দুল আজিজ ও আইয়ুব আলী জানান, রোপা লাগানের সময় অথবা সর্বোচ্চ ১৫ দিনের মধ্যে জমিতে সার না দিলে শিকর দ্রুত ছড়াবে না। বিশেষ করে টিএসপি ও এমওপি সার দ্রুত দিলে চারা বাচ্চা দেবে না। এ অবস্থায় বাজারে টিএসপি ও এমওপি সার টাকা দিয়েও পাওয়া যায় না। বর্তমানে এইওউরিয়া ১শ হাজার টাকা, টিএসপি ১৩০০ টাকা এবং এমওপি সার ১০০০ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে।তবে খুচরা কিনতে গেলে দাম আরো বেশি পড়ছে।
এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু তাহের বলেন, বর্তমানে জেলায় সারের কোন সংকট নেই। ডিলারদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে সার মুজদ রয়েছে। খুচরা বাজরে ইউরিয়া প্রতি কেজি ১৬ টাকা, টিএসপি ২২ টাকা, ডিএপি ১৬ টাকা ও এমওপি ১৫ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে কেউ সারের দাম চাইতে পারবে না।

সার মনিটরিং কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো: মাহবুবুর রহমান জানান, বাজারে সারের সংকট মনিটরিং করতে কৃষি অফিসার ও ইউএনওদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেউ কৃত্রিমভাবে সারের সংকট তৈরী করে বা করার চেষ্টা করলে তা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।

অবশ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার বিভিন্ন জায়গায় অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি করায় বেশ কয়েকজন সার ব্যবসাযীকে জরিমানা করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..