নিজস্ব প্রতিবেদক: তানভীর রাহি বর্তমান সময়ে একটি পরিচিত নাম।বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইউটিউবার তৌহিদ আফ্রিদির বরিশ্যাইলা মনু ও বিভিন্ন ব্লগে কাজ করার পর থেকেই ব্যাপক সাড়া পাই রাহি ।তিনি ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি নাটক ও শর্টফ্লিমে কাজ করেছেন। তৌহিদ আফ্রিদির ভিডিওতে প্রতিনিয়ত দেখা মেলে রাহির। রাহি সাধারণত সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন তৌহিদ আফ্রিদির ভিডিওতে। রাহি তৌহিদ আফ্রিদিকে প্রথম দিক থেকেই আইডল মনে করেন।
এসব বিষয়ে সময়ের জনপ্রিয় রাহি জানান, তৌহিদ আফ্রিদি অনেক ভালো মনের মানুষ। আমি প্রথম থেকেই ওনার ফ্যান ।আলহামদুল্লিলাহ আমি তৌহিদ আফ্রিদির ফ্যান রাহি থেকে আজ তৌহিদ আফ্রিদির টিম মেম্বার। ভাইয়ার সাথে অনেক ভালো ভালো কাজ করেছি।
ভাইয়ার সাথে আমি প্রথম বরিশাইলা মনু নামের ভিডিওতে প্রথম কাজ করেছি।
বরিশালে শুটিং হয়েছিল। বরিশাল যাওয়ার পর দিন শুটিং শুরু হলো তো তখন দেখি যে আমার ক্যারেক্টার সবচেয়ে বেশি এবং আমাকে খুব ভালো একটা ক্যারেক্টার দিয়েছে।
আমি ভালো একটা ক্যারেক্টার পেয়েছি। শুটিংয়ের সময় বকাঝকা করে আমাকে খুব সুন্দর ভাবে শিখিয়েছে কিভাবে শুটিং করতে হয়। আমি কখনো ক্যামেরার সামনে দাঁড়ায়নি ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর শিখিয়েছে এবং উনি আমার লাইফের সবচেয়ে বড় এচিভমেন্ট। তারপরে আমি ইনশাল্লাহ ওই কাজ সম্পন্ন করার পর ওই কাজের তেমন একটা আমাকে মানুষ চিনে নাই কারণ আমি নতুন ছিলাম তারপর পরে ভাইয়া নোয়াখালী ব্লগে আসি তারপর ঐখান থেকে মোটামুটি আমাকে মানুষ চেনা শুরু করে এর পরেই আমাদের বরিশাইল্লা মনু ৪ নাটকটিতে কাজ করি। এই আমার জনপ্রিয়তা মোটামুটি শুরু তারপর আমি বিভিন্ন ব্লগে যাই অনেক মজা ঠাট্টা করি। লাইফের অনেক স্বপ্ন ছিল আমি পাঁচ তারকা হোটেলে থাকবো,আমি ঢাকায় গিয়ে এস্টাবলিশ হবো,আমি প্লেনে উঠবো, যদি পড়ালেখা শেষ করে মানুষের মতো মানুষ হয়;তখন করা যাবে কিন্তু আমি পড়ালেখা শেষ করার আগে নিজে ইনকাম করার আগেই এসব স্বপ্ন পূরণ করছে আমার আফ্রিদি ভাই। তারপরে বিভিন্ন উন্নয়নের চ্যানেলে গিয়ে নাটক করি তো একটা ডেমি নাটক করার পর চিন্তা করলাম যে, আমার ভাই চ্যানেলটা আমার জন্য পারফেক্ট তারপর আর কাজ করিনি এখন তারপরেই ভাইয়া আমাকে অনেক বড় একটা অপারচুনিটি দেয় আমাদের মাইটিভি পাকের ঘরের সেকেন্ড কো হোস্ট হিসেবে। আমাদের ম্যাডাম এবং আমার আম্মা আমার সাথে হোস্ট, এটা হচ্ছে আমার লাইফের সবচেয়ে বড় এচিভমেন্ট এর থেকে বড় পাওয়া আর কিছুই হয় না যে আমি আমার অফিসের মালিকের সাথে একই মঞ্চে উঠে অভিনয় করি এটা হচ্ছে আমার লাইফের সবচেয়ে বড় পাওয়া। এই পাওয়াই হয়তো ভাইয়া আমাদের টিমের হয়তোবা কারো এত বড় সুযোগ দেয়নি। কিন্তু আমাকে অনেক বড় একটা সুযোগ দিয়েছে তৌহিদ আফ্রিদি ভাইয়া। আমি ভাইয়ার কাছে আজীবন রয়ে গেলাম।আমার লাইফে উঠে আসার গল্প যতদিন বেঁচে থাকবো তদিন তৌহিদ আফ্রিদির জন্য করে যাবে।যতদিন আছি ভাইয়ার সাথেই কাজ করে যেতে চাই।