দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ আর্জেন্টিনার রোজারিও শহরে হোর্হে মেসি ও সেলিয়া কুচেত্তিনির সংসারে এসেছিল তৃতীয় সন্তান। স্বাভাবিক বাচ্চাদের মত ছিল না সেই ছেলের বাল্যকাল। দৈহিক অস্বাভাবিকতা ধরা পড়ে খুব ছোট্ট থাকতেই। সেই অস্বাভাবিকতা জয় করে গত প্রায় ২ দশক করে ফুটবল মাঠে একের পর এক অস্বাভাবিক ঘটনার জন্মই দিয়েছেন হোর্হে ও কুচেত্তিনির তৃতীয় সন্তান। নাম তার লিওনেল আন্দ্রেস মেসি কুচেত্তিনি। পায়ের জাদুতে পুরো ফুটবল বিশ্বকেই মাতিয়ে রাখা সেই লিওনেল মেসির জন্মদিন ২৪ জুন।
লিওনেল মেসি রেকর্ড পাঁচবার ব্যালন ডি অর জয় করেছেন, যার মধ্যে চারটি জিতেছেন টানা চার বছরে। পাশাপাশি রেকর্ড পাঁচবার ইউরোপীয় গোল্ডেন শু ও জিতেছেন। তিনি বর্তমানে আর্জেন্টিনা জাতীয় দল এবং বার্সেলোনার অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অনেক ধারাভাষ্যকার, ফুটবল বিশেষজ্ঞ, কোচ এবং খেলোয়াড় মেসিকে বর্তমান সময়ের সেরা এবং সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার হিসেবে গন্য করে থাকেন।
মেসি তার পুরো পেশাদার জীবন পার করেছেন বার্সেলোনায় যেখানে মোট ৩২টি শিরোপা জিতেছেন, যার মধ্যে রয়েছে ৯টি লা লিগা, ৪টি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ এবং ৬টি কোপা দেল রে। একজন অসাধারণ গোলদাতা হিসেবে মেসির দখলে রয়েছে লা লিগায় সর্বোচ্চ গোল (৪০৮), লা লিগায় এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল (৫০), ইউরোপে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল (৭৩), এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ গোল (৯১), এল ক্লাসিকোর ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোল (২৬) এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বোচ্চ হ্যাট্রিকের (৮) রেকর্ড। পাশাপাশি মেসি একজন সৃষ্টিশীল প্লেমেকার হিসেবেও সেরা। তিনি লা লিগা (১৬৩) এবং কোপা আমেরিকার (১১) ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলে সহায়তাকারীর রেকর্ডেরও মালিক।
মেসি আর্জেন্টিনার ইতিহাসের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা। বয়সভিত্তিক পর্যায়ে মেসি আর্জেনটিনাকে ২০০৫ ফিফা ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতাতে সাহায্য করেন যে টুর্নামেন্টে তিনি সর্বোচ্চ গোলদাতা এবং সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জয় করেন। এছাড়া তিনি ২০০৮ গ্রীষ্মকালীন অলম্পিকে তিনি স্বর্ণপদক জয় করেন। ২০০৫ সালের অগাস্টে তার আর্জেন্টিনা জাতীয় দল এ তার অভিষেক হয়। ২০১১ সালের অগাস্টে তিনি আর্জেন্টিনা দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পান। অধিনায়ক হিসেবে তিনি আর্জেন্টিনাকে টানা তিনটি টুর্নামেন্টের ফাইনালে তোলেন: ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ, ২০১৫ কোপা আমেরিকা এবং ২০১৬ কোপা আমেরিকা। তিনি ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল অর্জন করেন।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন