নিজস্ব প্রতিবেদক: শোবিজ অঙ্গনের প্রিয় মুখ মেকআপ আর্টিস্ট মনির হোসেন। নাটক ও সিনেমায় মনিরের মেকাপ মানেই ভিন্ন কিছু। দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশের অনেক তারকাকেও শিল্পীর মুন্সিয়ানায় সাজিয়েছেন মনির। এক যুগেরও বেশি সময়ে ধরে তিনি দেশ বিদেশের তারকাদের সুন্দর করে তোলার কারিগর হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাই কাজের মধ্যে দিয়ে মনির হোসাইন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলো ছড়াচ্ছেন বেশ কয়েক বছর ধরেই। তার এই শৈল্পিক সজ্জায় পর্দায় আকর্ষণীয় হয়ে হাজির হন তারকারা। ব্যক্তি জীবনেও সাজসজ্জার জন্য মনির’স বিউটি লাউঞ্জে ভিড় জমান তারকারা।
ঢালিউড তারকা পূর্ণিমা, জয়া আহসান, মেহজাবিন, পপি, তৃষা, সাদিয়া ইসলাম মৌ, বিদ্যা সিনহা মীম, মাহিয়া মাহি, পড়ীমনি, বর্ষা, পূজা চেরিরা তার ছোঁয়া নতুন লুক নিয়ে আলোচনায় এসেছেন। তার হাত ধরে হিরো আলম, টিকটকের অপু ভাইয়ের মতো ভাইরাল মুখও সবার নজর কেড়েছে।
মনির হোসেন বলেন, আমার মনির’স বিউটি লাউঞ্জে তারকাদের একটু ভিড় বেশি। প্রতিদিনই কেউ না কেউ আসছেন। তবে শোবিজের বাইরেও বিয়ের সাজের সেবা দিয়ে থাকি।
তিনি আরও বলেন, সাজসজ্জার পাশাপাশি আমার মেকআপের স্কুলও রয়েছে। যারা নানা রকম মেকাপ শিখতে চান তারা আমার কাছ থেকে শিখতে পারেন। কর্মশালা এবং হাতে কলমে প্রশিক্ষণসহ মেকাপ শেখায়। এরইমধ্যে অনেকেই আমার থেকে শিক্ষা নিয়ে মেকাপম্যান হিসেবে দেশ-বিদেশে সুনামের সাথে কাজ করছেন।
মনির হোসেন জানান, বিয়ের সাজসজ্জায় বাংলাদেশসহ ইন্ডিয়ান ও পাকিস্তানি ব্রাইডালে ট্রেনিং নিয়েছেন তিনি। এশিয়ান অন্যান্যা দেশগুলোর ব্রাইডাল মেকআপের উপরও রয়েছে তার বিশেষ ট্রেনিং।
শোবিজের বাইরেও বিয়ের সাজের সেবা দিয়ে আসছেন মনিরের মনির’স বিউটি লাউঞ্জ। আমাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে ব্রাইডাল মেকওভার। আমরা বিভিন্ন প্যাকেজে নানারকম সুবিধা দিচ্ছি।
মনির হোসেন আরো বলেন, আমি মিডিয়াতে কাজ করার পাশাপাশি এটাকে ব্যবসা হিসেবে নিয়েছি। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেকে আপডেট করেছি। আমাদের দেশে মেকআপ শিল্পকে একটি অন্য পর্যায় নিয়ে যেতে চাই আমি। দেশে এ পেশার চাহিদা রয়েছে।
উল্লেখ্য, মনির হোসেন ‘খোঁজ দা সার্চ’ সিনেমায় প্রধান মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে যাত্রা শুরু করেন বড় পর্দায়। তিনি বাংলাদেশের নামিদামি বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন এবং নাটক সিনেমা আছে তার অসংখ্য।
বলিউডে অমিতাভ বচ্চন, ইরফান খান, শিল্পা শেঠি, রাখি সাওয়ান্ত, বিদ্যা বলান, অক্ষয় কুমার, পরেশ রাওয়াল, সানি লিওনির গালেও রং তুলি ছুঁয়েছেন।