1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

আবেদন করেও সংযোগ পাইনি অটো রাইসমিল; টাকা দাবীর অভিযোগে উপ-সহকারীর বিরুদ্ধে প্রধান প্রকৌশলীর কাছে নালিশ

  • Update Time : রবিবার, ২৫ জুন, ২০২৩
  • ১৩৫ Time View

চৌধুরী হারুনুর রশীদ: রাঙামাটি বিদ্যুৎ বিভাগের এক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ট্রান্সফরমার পরিবর্তন ও দুই তারের চারটি খুঁটি টানার জন্য ৫ লাখ টাকা দাবির অভিযোগে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ দক্ষিণ অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন এক রাইসমিল মালিক। নিয়মানুযায়ী আবেদনের ২৮ দিনের মধ্যে সংযোগ প্রদানের নিয়ম থাকলেও এখন অবধি বিদ্যুৎ সংযোগ পায়নি রাইসমিল মালিক। তবে এই সময়ের মধ্যে রাইস মিলে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় ব্যবসায়ীকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন রাইসমিল মালিক চঞ্চল বিহারী চাকমা।

গত ২৩ মে দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জুরাছড়ি অটো রাইচ মিলের মালিক চঞ্চল বিহারী চাকমা ৫০ হাজার কিলোওয়াড বিদ্যুৎ সংযাগ পাওয়ার জন্য আবেদন করেন গত ১৪ মার্চ। আবেদনের দুই মাসের অধিক সময় পর বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগে যোগাযোগ করলে উপ-সহকারী প্রকৌশলী সরওয়ার কামাল নতুন সংযোগ ও ট্রান্সফরমার পরিবর্তন করে চারটি খুটি টানার লক্ষ্যে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। যা চঞ্চল বিহারী চাকমার পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়। আবেদনের পর এখনো পর্যন্ত তিনি বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় রাইসমিলটি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, এ ব্যাপারে খাদ্য বিভাগকে অবহিত করার প্রেক্ষিতে কৃষকদের স্বার্থে এবং সরকারের আর্থিক সাশ্রয় বিবেচনা করে জুরাছড়ি এলএসডির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাঙামাটি বিদ্যুৎ বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলী বরাবরে রাইচ মিলে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের জন্য লিখিতভাবে সুপারিশ করেন। উপরন্তু সুপারিশের পরও তার সঙ্গে অশোভন আচরণ করে। এতে করে আমি হয়রানির শিকার হয়ে আসছি। এই লিখিত অভিযোগের অনুলিপি দেয়া হয়েছে রাঙামাটির সংসদ সদস্য, জেলাপ্রশাসক, দুদকের উপপরিচালক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও জুরাছড়ির ইউএনও বরাবরে।

শুধু জুরাছড়ির চঞ্চল বিহারী চাকমাই নয়; বিদ্যুৎ বিভাগ এমন হয়রানির শিকার হচ্ছেন অনেক গ্রাহক। টাকার বিনিময় ছাড়া সেবা পান না গ্রাহকরা। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা চাকরিতে যেন সোনার হরিণে পরিণত হয়েছে এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। অনুসন্ধানে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর রাঙামাটি বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুর রহমানের বিরুদ্ধে ‘জন হয়রানী ও দুর্নীতি’র অভিযোগে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছিল দুনীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান বরাবরে। সেই অভিযোগপত্রে বলা হয়েছিল, ‘নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুর রহমানের সীমাহীন হয়রানি ও প্রতি পদে পদে দুর্নীতি কারণে রাঙামাটির এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। বাসা-বাড়িতে প্রতিটি বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা নিয়ে চরম হয়রানী করে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে কামিয়ে নিচ্ছে। নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুর রহমান সংযোগের জন্য গ্রাহকের কাছ থেকে প্রকাশ্যে টাকা দাবি করে। তদন্ত কিংবা শুনানি করলে তার বিরুদ্ধে শতশত মানুষ সাক্ষী দিবে।’

এদিক বিদ্যুৎ অফিস সূত্র জানিয়েছে, প্রতিটি বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রে নতুন সিঙ্গেল ফেজ বাসাবাড়িতে ৭দিন, থ্রি ফেজ ২৮ দিনের সংযোগ দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। আবেদনের সাতদিনের মধ্যে সিঙ্গেল ফেজ বাসাবাড়িতে, থ্রি ফেজ আবেদনের ২৮ দিনের মধ্যে গ্রাহকদের জানানোর নিয়ম রয়েছে। তবে রাঙামাটি বিদ্যুৎ অফিসে অনিয়মই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো সরকারি নিয়মনীতি মানা হচ্ছে না। উপরন্তু অর্থ আদায় ছাড়া নতুন সংযোগ পাচ্ছেন বলে অভিযোগ আবেদনকারীদের।

এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জুরাছড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী সরওয়ার কামাল বলেন, জুরাছড়ি অটোরাইচ মিলের জন্য চঞ্চল বিহারী চাকমা ৫০ কিলোওয়াড আবেদন করেন। সহকারী প্রকৌশলী ওয়াহিদুলজ্জমান শীতলবাবুসহ সরেজমিনে গিয়ে দেখি অটো রাইচ মিলে বিদ্যুৎ প্রয়োজন ৮০ কিলো। তাই নোট দিয়েছি নিবার্হী প্রকৌশলী বরাবরে। তিনি লিখিত আকারে জবাব দেন।

চঞ্চল বিহারী চাকমার কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করার বিষয়টি অস্বীকার করেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী সরওয়ার কামাল। জুরাছড়ির দায়িত্বে কোন প্রকৌশলী আছেন এই প্রশ্ন করলে তিনি উপ-সহকারী প্রকৌশলী সরওয়ার কামাল নিজে ও সহকারী প্রকৌশলী ওয়াহিদুমান শীতল দুইজনে এই সাইটে দেখেন বলে জানায় ।

এদিকে, রাইসমিল মালিক চঞ্চল বিহারী চাকমা জানায়, আমি আবেদন করেছি মার্চ মাসে। ২৮ দিনের মধ্যে ৫০ কিলো সংযোগ দেওয়ার নিয়ম থাকলেও সরওয়ার কামাল ৫ লাখ টাকা দাবি করে তালবাহানা করছে আজ ৫ মাস। রাজস্থলী থেকে নিয়ে আসা পুরাতন অটোমিলের মটর ওখানে ৫০ কিলোতে চলতে পারলে জুরাছড়িতে চলবে না কেন?

জুরাছড়ি খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রতন চাকমা জানান, সরকারি স্বার্থে খাদ্য মজুদ করার জন্য সংযোগ দিতে সুপারিশ করেছিলাম। এখন ট্রান্সফারমার নষ্ট হওয়ায় এলাকাবাসীর মাধ্যমে টাকা দাবি করার জনশ্রুতি আছে।

ঈদের আগে ২৫ জুন রোববার রাঙামাটি শহরে ফায়ার সার্ভিস সামনে প্রধান সড়কের পাশে নেটিশ, মাইকিং ও ঠিকাদার ব্যতীত বি আর্থিক সুবিধা নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের তড়িৎবিদ লাইনের সম্প্রসারণ করতে গিয়ে দীর্ঘ সাড়ে প্রায় বিদ্যুৎ বন্ধ রেখেছে নির্বাহী প্রকৌশলী ।

অতিরিক্ত প্রকৌশলী কামাল উদ্দীন মুঠোফোনে প্রতিবেদককে বলেন- বিদ্যুৎ বন্ধ বিষয়ে আমি জানি না, সাংবাদিক ফজলে এলাহি এই বিষয়ে ফোন করেছে আমি নিবার্হী প্রকৌশলী ফোন করে জানিয়েছি এই বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি কেন ! জুরাছড়ি চঞ্চল বিহারী চাকমার অটোরাইস মিলে ২৮ দিনের মধ্যে সংযোগ না দিয়ে দীর্ঘ তিনমাস পর উল্টো চিটি দিয়ে পাচলাখ টাকা দাবী বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,চঞ্চল বিহারীর প্রধান প্রকৌশলীর পেয়েছি তিনি আমার কাছে আসছিল নিবার্হী প্রকৌশলী জানায় ৮০ কিলোর জন্য বিদ্যুৎ লোড নিবে না ।

অপরদিকে কালিন্দিপুর হলিচাকমা বিল্ডিং এ একই ব্যক্তি দুই নামে একই তারিখে একই মোবাইলে ১০টি আবেদন ব্যতীত আর্থিক সুবিধা দিয়ে ফ্রি পেইট মিটারে অবৈধ সংযোগ দিয়েছে ,সাবেক সহকারী প্রকৌশলী আদিুলুজ্জমান সরেজমিনে গিয়ে ৭ তলা বিল্ডিং অনেক মিটারে সীল নেই অবৈধ সংযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন। ২২/৯/২২ খৃী: মিটার লাগানোর ৫ মাস পরে আতিকুল আলম আবেদন এখনো অনুমোদন হয়নি বলে জানাগেছে । ১০/১০/২২ খৃী:আলিফ মার্কেটে ঠিকানায় সৈকত জুলেয়ার্স নামে আবেদন ব্যতীত অন্য ঠিকানায় ফ্রি পেইট মিটার সংযোগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে,শুভ মঙ্গলসহ অনেক গ্রাহককে আর্থিক সুবিধা নিয়ে মিটারসহ অবৈধ সংযোগ দিয়েছ্ ে। এইসব সংযোগ দিয়েছে সহকারী প্রকৌশলী আতিকুল আলম, দীপান্তর চাকমা অথচ এক বছর অধিক সময়ে প্রতিবেদক আবেদন করে আজও মিটার পাইনি ।

প্রসঙ্গত: বিলাইছড়ি হাজাছড়া স্থানীয় মেম্বার মংতোয়াইচিং মারমা ৪ জুন ট্রান্মফারমার নষ্ট হলে জনৈক লাইনম্যান গিয়াস উদ্দীন তড়িৎবিদ ৩শ মিটার সরকারী তার খুলে নিয়ে আর্থিক সুবিধা অন্য কোথাও লাগিয়ে দেয়। ৫০ কিলো: ট্রান্সফারমার বদলে গড়িমসি টাকা দাবী সহকারী প্রকৌশলী আবুল হাসেম এর বিরুদ্থে ৪০ হাজার টাকা । সরকারী গোডাউন(ষ্টোর) থেকে আবারো ৩০০ মিটার নিয়ে ১৬ জুন বদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়। মেম্বার নিজেই সহকারী প্রকৌশলী আবুল হাসেম এবং তড়িৎবিদ গিয়াস উদ্দীনের বিরুদ্ধে ৩ বার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নিবার্হী প্রকৌশলী সাইফুর রহমানের বরাবরে।তার আগেও তড়িৎবিদ বিরদ্ধে রাঙাপানি ফিডারের আওতাধীন মুসলীম পাড়া হতে ২টি এলটি লুপ খুলিয়া নেয়ার অভিযোগে সতর্কীকরণ নোটিশ করেন সাবেক নিবার্হী প্রকৌশলী।
উল্লেখ্য ,তিন পার্বত্য জেলায় বিদ্যুৎ প্রকল্প ১ম পর্যায়ে ৫৬২ কোটি টাকা ২য় পর্যায়ে ৩ কোটি বাড়িয়ে মোট ৫৬৫ কোটি টাকার গতবছরে শেষ কিন্ত ৩য় পর্যায়ে প্রকল্প অনুমোদন হয়নি একনেকে। প্রকল্প পরিচালক ছিলেন উজ্জল বড়–য়া খাগড়াছড়ির বাস ষ্টেশনের পাশে কয়েকটি প্রকল্পের পোল অঅনুষাঙ্গিক মালামাল পরিত্যক্ত দেখা গেছে। ঔসব প্রকল্পের কাজ শেষ করেনি জুনের আগে আর্থিক সুবিধা নিয়ে বিল অগ্রিম বিল পরিশোধ করেন। পাহাড়ে কয়েকটি স্থানে বিদ্যুতের পোল আনুষাঙ্গিক মালামাল পরিত্যাক্ত রয়েছে বলে অনেকের অভিযোগ। একটি বিদ্যুৎ প্রকল্পের শেষ করার আগে বিলাইছড়ির পুরাতন ৫১টি ষ্টীলের পোল ঠিকাদার ইলেকট্রিক্যাল এন্টার প্রাইজ চট্টগ্রাম রাঙামাটি ষ্টোরে জমা না দিয়ে কোথায় অবৈধভাবে লাইন সম্প্রসারণ কাজে লাগিয়েছে তা জানা যায়নি। এই প্রকল্পের কাজ শেষ না হতেই নিবার্হী প্রকৌশলী সাইফুর রহমান সরকারি টাকা অধিকাংশ নয়ছয় করে রাঙামাটি বিদ্যুৎ বিভাগে বদলী হয় । অপরজন নিবার্হী প্রকৌশলী শেখ সাকিব ছুটি নিয়ে স্ব-পরিবারে কানাডা চলে যান। নিবার্হী প্রকৌশলী সাইফুর রহমানও বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগে যেই হারে অনিয়ম শুরু করেছে যে কোন সময় দেশের বাইরে চলে যাওয়ার সম্ভবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..