ওয়েব ডেস্ক: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ বলেছেন, দেশটাকে তারা (আওয়ামী লীগ সরকার) এমন জায়গায় দাঁড় করিয়েছিল, যেখানে মানুষের কথা বলার অধিকার ছিল না। শেখ হাসিনা সরকার দেশে তিনবার তিনটি গণহত্যা চালিয়েছে। অসংখ্য মানুষের প্রাণের বিনিময়ে তাদের রক্তের ওপর দিয়ে দেশ শাসন করেছে। আল্লাহ সবচেয়ে বড় হেফাজতকারী, তাই তিনি এই জালেম সরকারের পতন ঘটিয়ে আমাদের রক্ষা করেছেন।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ফরিদপুর শহরের আলিপুর গোরস্থান মসজিদ চত্বরে জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির মাওলানা মো. বদরুদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্ব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এমন কাজ করেছে যে তাদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে। তারা বড় বড় মেগা প্রকল্প করে মেগা লুটপাট করেছে। সরকারের দুর্নীতিবাজরা টাকা লুটপাট করে দেশের বাইরে বেগম পাড়ায় বাড়ি করেছে।
শেখ হাসিনা সরকার পতনের আন্দোলন কোনো রাজনৈতিক আন্দোলন ছিল না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ আন্দোলন ছিল ছাত্রসমাজের অধিকারের আন্দোলন। আওয়ামী লীগ ছাত্র আন্দোলন দমাতে গিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে শত শত ছাত্রকে হত্যা করেছে। একপর্যায়ে স্বৈরাচারী সরকার দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, গত ১৫ বছর নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। দিনের ভোট রাতে হয়েছে। জনগণের টাকা হরণ করে তারা বিদেশে বাড়ি নির্মাণ করেছে। বাংলাদেশের কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। জনগণ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় জামায়াতে ইসলামী ফরিদপুর জেলার সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল ওহাবের পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মো. আবু হারিচ মোল্লা, নায়েবে আমির ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও অঞ্চল সহকারী পরিচালক প্রফেসর আব্দুত তাওয়াব, শহীদ পরিবারের সদস্য তাসিম শিকদার, মো. কামরুল ইসলাম সেতু, রোহেদুন শেজবাহ প্রমুখ।
মতবিনিময় সভা শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ফরিদপুরের ১০ শহীদ পরিবারের প্রত্যেককে দুই লাখ করে আর্থিক অনুদান দেয় জামায়াতে ইসলামী। ফরিদপুরে বসবাসরত সাত শহীদ পরিবার এবং তিন শহীদ পরিবারকে ঢাকার বাসায় আর্থিক অনুদান পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
মতবিনিময় সভার আগে আলীপুর গোরস্থানে শহীদদের কবর জিয়ারত করেন জামায়াতে ইসলামীর নেতারা।