হাজার বছরের ইতিহাস ঐতিহ্য ইউরোপকে সমৃদ্ধ করেছে প্রতিটি শতকেই যুদ্ধ। প্রাকৃতিক বিপর্যয় সামাল দিয়ে ইউরোপ উন্নত বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
জনগণের জীবনযাত্রার মানের উন্নতি সাধন করেছে ইউরোপের একটি অন্যতম জোট হচ্ছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সাধনের পাশাপাশি মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটিয়েছে।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ২৮টি (যুক্তরাজ্যসহ) দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মানের বিচারে সর্বোচ্চ পয়েন্ট নম্বর ১০ হিসেবে ইইউ গড়ে ৭ দশমিক ৩ পয়েন্ট তবে বিভিন্ন দেশ ভেদে এর পার্থক্য রয়েছে যেমন সবচেয়ে উপরের সারিতে রয়েছে অর্থাৎ অস্ট্রিয়া সুইজারল্যান্ড নরওয়ে আয়ারল্যান্ড এবং ফিনল্যান্ড ৮ পয়েন্ট এর উপরে রয়েছে।
সবচেয়ে বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি বাংলাদেশি বসবাসকারী দেশগুলোর মধ্যে ইতালি ৭ দশমিক ১ পয়েন্ট, স্পেন ৭ দশমিক ৩ পয়েন্ট, পর্তুগাল ৬ দশমিক ৭ পয়েন্ট, ফ্রান্স ৭ দশমিক ৩ পয়েন্ট, গ্রিস ৬ দশমিক ৪ পয়েন্ট এবং যুক্তরাজ্য ৭ দশমিক ৬ পয়েন্ট।
তবে যদি আবার জনগণের সন্তুষ্টির দিকে তাকাই তাহলে চিত্র আবার ভিন্ন যেমন ইইউ ২৮টি (যুক্তরাজ্যসহ) দেশের নাগরিকরা ২৫ দশমিক ৫ শতাংশ মনে করেন তারা খুবই সন্তুষ্ট, ৫৮ দশমিক ৫ শতাংশ জনগণ মনে করেন মধ্যম স্তরের (মোটামুটি) সন্তুষ্ট এবং নিম্নস্তরের সন্তুষ্টি ১৬ দশমিক ১ শতাংশ মানুষের।
এখানেও দেশভেদে পার্থক্য রয়েছে যেমন সবচেয়ে বেশি উচ্চ সন্তুষ্টির দেশগুলো হচ্ছে ডেনমার্ক ফিনল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ড তাদের সূচক ৪০ শতাংশের ওপরে। মধ্যম স্তরের সন্তুষ্টির বলতে গেলে সবগুলো দেশি তাদের সূচক ৪০ থেকে ৭০ শতাংশের এর মধ্যে।
তবে জনগণের নিম্ন স্তরের সন্তুষ্টির উল্লেখযোগ্য দেশগুলো হচ্ছে বুলগেরিয়া যেখানে ৫৪ শতাংশ জনগণই তাদের জীবনযাত্রা নিয়ে অসন্তুষ্ট।
বিষয়গুলো জীবনযাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত দশটি বিষয় বিবেচনায় তুলে আনা হয়েছে অর্থাৎ বাৎসরিক আয়, বাসস্থানের অবস্থা, কর্মসংস্থান, সাপ্তাহিক কর্মঘণ্টা, শিক্ষাব্যবস্থা, স্বাস্থ্যব্যবস্থা, সামাজিক যোগাযোগ, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা, সরকার কাঠামো, পরিবেশ।
প্রতিটি দেশেই সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে কোনো দেশে আয় বেশি কোনো দেশে আবার কর্মসংস্থানের পরিবেশ সুন্দর কর্মঘণ্টা কম, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি।
তবে এক কথায় বলতে গেলে এটি একটি ইউরোপিয়ান ঐতিহ্য কেননা শুরুতেই যা বলছিলাম ইতিহাস-ঐতিহ্যের কারণে তাদের এই স্বতন্ত্রতা তবে বাস্তবিক ক্ষেত্রে ইউরোপ মানবিক এবং তাদের জনগণের জীবনমানের উন্নয়নের পাশাপাশি বিশ্বের দরিদ্র এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সার্বিক সহযোগিতায় মাধ্যমে জীবনমনের উন্নয়ন গঠনে অবদান রেখে চলেছেন যা আমরা প্রায়শই পরিলক্ষিত করি।