ওয়েব ডেস্ক: নিয়োগ বাণিজ্য, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে রাজশাহীর কাঁকনহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র এ. কে. এম আতাউর রহমান ও পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সম্প্রতি কমিশন থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে অনুসন্ধানের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রাজশাহীর কাঁকনহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র এ. কে. এম আতাউর রহমান খানের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে।
অভিযোগ রয়েছে, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আওতায় বিভিন্ন পদে নিয়োগে অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে স্বজনদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের তীর রয়েছে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিমের দিকেও।
সূত্র জানায়, প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আওতায় ছয়টি পদে নিয়োগ কার্যক্রমে অনিয়মের তথ্য উঠে এসেছে। যার মধ্যে রয়েছে, ১ নম্বর পদ, স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের জন্য পৌর নির্বাহী কর্মকর্তার একজন বিশেষ প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়, যার নাম জানা সম্ভব হয়নি। ২ নম্বর স্টোর কিপার পদে মেয়রের নাতি শিহাব উল্লাহকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ৩ নম্বর সহকারী কর আদায়কারী পদে মহসিনা আক্তার, ৪ নম্বর সার্ভেয়ার পদে ইফতেহাদ আহম্মেদ স্বপন, ৫ নম্বর নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে হিমেল এবং ৬ নম্বর অফিস সহায়ক পদে মেহেদী হাসানকে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এর আগেও বিভিন্ন নিয়োগে সাবেক মেয়র আতাউর রহমান ঘুষ ও প্রভাব খাটিয়ে প্রার্থীদের নিয়োগ দিয়েছেন। পুরো প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব ছিল বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।