প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিভিন্ন দেশ থেকে ইটালিতে আসা ১৮ বছরের কম বয়সী অভিবাসী রয়েছে মোট সাত হাজার ৮০ জন, যাদের সঙ্গে তাদের অভিভাবক নেই৷ এই সংখ্যা ২০১৯ সালের চেয়ে প্রায় ১৭ ভাগ বেশি হলেও ২০১৮ সালের তুলনায় প্রায় সাড়ে ৩৪ ভাগ কম৷
ইটলিতে গত বছর পর্যন্ত নিবন্ধিত এমন অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিভাবাসীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি, যাদের সংখ্যা এক হাজার ৫৫৮ জন৷ এটি ২০১৯ সালের তুলনায় ১৪ ভাগ বেশি৷ এরপরই রয়েছে টিউনিসিয়া থেকে আসা অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিবাসীরা, যাদের সংখ্যা এক হাজার ৮৪ জন৷
২০২০ সালে মোট ৩৪ হাজার ১৫৪ অভিবাসী ইটালিতে পাড়ি জমিয়েছেন৷ তাদের মধ্যে চার হাজার ৬৮৭ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক ও অভিভাবকহীন৷ এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩১ দশমিক সাত শতাংশ এসেছে টিউনিসিয়া থেকে৷ এরপরই রয়েছে বাংলাদেশ থেকে আসা অপ্রাপ্তবয়স্করা, যার হার সাড়ে ২২ শতাংশ৷ সোমালিয়া থেকে আসা এমন অপ্রাপ্তবয়স্কের হার ছয় দশমিক দুই শতাংশ৷
সেভ দ্য চিলড্রেনের হেল্পলাইন
ভাষা, সংস্কৃতি ও সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে কোন রকমের ধারণা না থাকা বিদেশের মাটিতে যে কারো জন্যই বড় ধরনের চ্যালেঞ্চ৷ মহামারির সময়ে ইটালির অভিবাসী শিশুদের জন্য তা আরো বড় সংকটের কারণ হয়ে উঠেছে, বলছে সেভ দ্য চিলড্রেন৷ এমন বাস্তবতায় তাদের জন্য সরকারি স্বাস্থ্য সেবা সংক্রান্ত সহায়তা পাওয়া জরুরি হয়ে পড়ে৷ সেই প্রেক্ষিতেই একটি হেল্পলাইন চালু করেছিল শিশুদের নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠনটি৷ ২০২০ সালে এর মাধ্যমে ১৮ বছরের নীচের এক হাজার ১১৫ অভিবাসীকে সহায়তা দিয়েছে তারা৷ ব্যহত হওয়া শিক্ষা কার্যক্রম, পারিবারিক পুনর্মিলন প্রক্রিয়া ও স্বেচ্ছাসেবি অভিভাবক সংক্রান্ত বিষয় ছিল এর মধ্যে অন্যতম৷
এই উদ্যোগে ২০২০ সালে তারা মোট এক হাজার ২৭৬টি ফোন কল পেয়েছে৷ ফোন করে সহায়তা চাওয়াদের মধ্যে শিশুদের পাশাপাশি পূর্ণবয়স্করাও রয়েছেন৷ এর মধ্যে এক হাজার ১১৫ জনকে সহায়তা করা হয়েছে, যার মধ্যে ৫০৭ জন ছিলেন পূর্ণবয়স্ক আর ৬০৮ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক৷ সবচেয়ে বড় সহায়তার চাহিদা ছিল ভাষা সংক্রান্ত৷
সমস্যার ধরন
সেভ দ্য চিলড্রেনের এই হেল্পলাইন কার্যক্রমের তথ্য অনুযায়ী ২০২০ সালেই শিশু বয়স বা ১৮ বছর অতিক্রম করেছেন তারা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন৷ এর মধ্যে রয়েছে:
শিক্ষা কার্যক্রমে বাধা৷
শরণার্থী মর্যাদার প্রক্রিয়া সংক্রান্ত কার্যক্রম স্থগিত হওয়া৷
পারিবারিক পুনর্মিলন প্রক্রিয়া সংক্রান্ত কার্যক্রম স্থগিত হওয়া৷
অপ্রাপ্তবয়স্ক সঙ্গিহীনদের স্বেচ্ছাসেবী অভিভাবকের সঙ্গে সাক্ষাতের অভাব৷
হেল্পলাইনে যেসব ভাষায় সহযোগিতা দেয়া হয় তার মধ্যে রয়েছে ইংরেজি, ফরাসি, আরবি, ফারসি, বাংলা, হিন্দি, উর্দু, পাঞ্জাবি, সোমালি প্রভৃতি৷
সুত্র :ইনফোমাইগ্রেন্টস