স্পোর্টস ডেস্ক: ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ পুরোপুরি মুখ থুবড়ে পড়েছে সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্টস পার্কে। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা লিড নিয়েছিলো ১৬৩ রানের। দ্বিতীয় ইনিংসে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি কিংবা লোকেশ রাহুলের মত ব্যাটাররা এই ১৬৩ রানও টপকাতে পারলো না।
প্রোটিয়া বোলিং তোপের মুখে মাত্র ১৩১ রানে অলআউট হয়ে গেলো ভারতীয় ক্রিকেট দল। ফলে এক ইনিংস ও ৩২ রানের পরাজয়ের লজ্জা বরণ করে নিলো ভারত।
বিরাট কোহলি একাই লড়াই করলেন প্রোটিয়া বোলারদের বিপক্ষে। কিন্তু তিন পেসার কাগিসো রাবাদা, নান্দ্রে বার্গার এবং মার্কো জানসেনের আগুনে বোলিংয়ের সামনে কিছুই টিকলো না। খড়-কুটোর মত উড়ে গেলো ভারতের ব্যাটিং।
রাবাদার বলে সর্বশেষ উইকেট হিসেবে যখন বিরাট কোহলি আউট হলেন, তখন তার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছিলো ৭৬ রান। পুরো দল যেখানে ১৩১ রানে অলআউট হলো, তখন সেখানে কোহলির একারই অবদান ৭৬।
ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে দুই অংকের ঘর স্পর্শ করেছেন কেবল শুভমান গিল। তিনি করেছেন ২৬ রান। বাকি ব্যাটারদের রান পাশাপাশি বসালে ফোন নাম্বার হয়ে যাবে। অর্থ্যাৎ, বাকি ৯জন আর দুই অংকের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি। এর মধ্যে রোহিত শর্মা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন জসপ্রিত বুমরাহ শূন্য রানে আউট হয়ে যান।
প্রথম ইনিংসে লোকেশ রাহুলের সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ২৪৫ রান করেছিলো ভারত। জবাব দিতে নেমে ডিন এলগার অসাধারণ ব্যাটিং করলেন। তিনি খেললেন ১৮৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। মার্কো জানসেন অপরাজিত থাকেন ৮৪ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকা অলআউট হয় ৪০৮ রানে। প্রথম ইনিংসে ১৬৩ রানের লিড পেয়ে যায় প্রোটিয়ারা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারেই রাবাদার বলে বোল্ড হয়ে যান রোহিত শর্মা। ৮ বলে একটি রানও করতে পারেননি তিনি। জসস্বি জয়সওয়াল করেন ৫ রান। নান্দ্রে বার্গারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি।
শুভমান গিল এবং বিরাট কোহলির ৩৯ রানের জুটি কিছুটা আশা দেখায়। কিন্তু ২৬ রান করে গিল মার্কো জানসেনের বলে বোল্ড হয়ে ভারতের আশা সব শেষ হয়ে যায়। এরপর বাকিরা শুধু আসা যাওয়ার মিছিলে ছিলেন। স্রেয়াশ আয়ার ৬, লোকেশ রাহুল ৪, অশ্বিন ০, শার্দুল ঠাকুর ২, বুমরাহ ০, মোহাম্মদ সিরাজ আউট হন ৪ রানে। সর্বশেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন বিরাট কোহলি।
কাগিসো রাবাদা নেন ২ উইকেট। ৪ উইকেট নেন নান্দ্রে বার্গার এবং ৩ উইকেট নেন মার্কো জানসেন। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন ডিন এলগার।