1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

ইভ্যালির বি‌নি‌য়ো‌গ নি‌য়ে যমুনা গ্রুপের নতুন ঘোষণা

  • Update Time : শুক্রবার, ২৭ আগস্ট, ২০২১
  • ২৬০ Time View

ওয়েব ডেস্ক: আ‌লো‌চিত সমা‌লো‌চিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিতে এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ কর‌বে ব‌লে ঘোষণা দি‌য়ে‌ছিল দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ যমুনা। ‌কিন্তু এক মা‌সেও বিনিয়োগ করবে কি-না তা নিয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে প‌রে‌নি। এখন বল‌ছে ইভ্যালির অডিটের চূড়ান্ত রিপোর্ট পেলে বিনিয়োগ কর‌বে কি-না জানা‌বে গ্রুপ‌টি।

শুক্রবার (২৮ আগস্ট) এক জরুরি ঘোষণায় এ কথা জানান যমুনা গ্রুপ পরিচালক (মার্কেটিং, সেলস অ্যান্ড অপারেশনস) ড. মোহাম্মদ আলমগীর আলম।

জরুরি ঘোষণায় বলা হয়, ইভ্যালিতে যমুনা গ্রুপের বিনিয়োগের আগে ইভ্যালির গ্রাহকদের ও পণ্য সরবরাহকারীদের পাওনা বা দায় দেনা নির্ধারণের লক্ষ্যে যমুনা গ্রুপের উদ্যোগে অডিট চলছে। যেহেতু এখনো অডিট কার্যক্রম শেষ হয়নি ও অডিটের চূড়ান্ত রিপোর্ট যমুনা গ্রুপের হাতে আসেনি তাই ইভ্যালিতে বিনিয়োগের বিষয়ে যমুনা গ্রুপ এখনো চূড়ান্ত কোনো অফিশিয়াল স্টেটমেন্ট দিতে প্রস্তুত নয়। অডিট শেষ হলে যথাসময়ে যমুনা গ্রুপ তার বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত ও বিস্তারিত কর্মপদ্ধতি মিডিয়ার সামনে প্রকাশ করবে।

এর আগে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে যমুনা গ্রুপের পরিচালক মনিকা ইসলামকে উদ্ধৃত করে জানানো হয়, ইভ্যালিতে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে যমুনা গ্রুপ।

এ বিষয়ে জান‌তে চাই‌লে মনিকা ইসলাম ব‌লেন, এমন খবর আ‌মিও দে‌খেছি। কিন্তু তারা কেন লি‌খে‌ছে আ‌মি জা‌নি না। ত‌বে এখন পর্যন্ত আমা‌দের সিদ্ধান্ত আ‌গের মতোই আ‌ছে। একটা প্র‌তিষ্ঠা‌নে বি‌নি‌য়োগ করার আ‌গে তা যাচাই-বাছাই কর‌তে হ‌য়। এজন্য অ‌ডিট করা হ‌চ্ছে, চূড়ান্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেব, তখন আপনাদের জানাব।

এর আ‌গে গত ২৭ জুলাই যমুনা গ্রুপের পক্ষ থে‌কে জানা‌নো হয়,  ইভ্যালির সঙ্গে যমুনা গ্রুপের একটি পার্টনারশিপ চুক্তি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে খুব শিগগিরই ২০০ কোটি টাকা বি‌নি‌য়োগ করা হ‌বে। এরপর ধাপে ধাপে ‌মোট এক হাজার কোটি টাকা বি‌নি‌য়োগ করবে।

এ ‌বিষ‌য়ে ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল বলেছি‌লেন, একটি দেশীয় উদ্যোগ হিসেবে আমাদের পাশে আরেকটি দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে পেয়ে আমরা সত্যিই আনন্দিত। যমুনার এই বিনিয়োগ ধারাবাহিক বিনিয়োগের অংশ এবং পরবর্তী ধাপেও তাদের বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। এই বিনিয়োগ ইভ্যালির ভবিষ্যৎ উন্নয়ন এবং ব্যবসার পরিধি বাড়া‌তে ব্যয় করা হবে।

সব‌শেষ বুধবার (২৭ আগস্ট) ইভ্যালির চেয়ারম্যান ও এম‌ডির নামে পরিচালিত সব ধরনের অ্যাকাউন্টের তথ্য ও ৫০ লাখ টাকা বা তার বেশি লেনদেনের চেক বা রশিদের কপি চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্র‌ণে থাকা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে (বিএফআইইউ)। সংস্থা‌টি ব্যাংকগুলোকে এ সংক্রান্ত তথ্য চে‌য়ে চিঠি দি‌য়ে‌ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তথ্য পাঠাতে বলা হ‌য়ে‌ছে।

এর আ‌গে গত বছরের আগস্টে ইভ্যালি এবং এর চেয়ারম্যান ও এমডির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লেনদেন এক মাসের জন্য স্থগিত করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

এরই মধ্যে প্রতারণা ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রাসেলের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জে মামলা করা হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার বাসিন্দা মো. রাজ বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আরার আদালতে এ মামলা করেন।

ই-কমার্স প্লাটফর্ম ইভ্যালি ২০১৮ সালে যাত্রা শুরু করে। লোভনীয় ডিসকাউন্ট কিংবা ক্যাশব্যাকের অফার প্রসঙ্গে ইভ্যালির নাম সর্বাগ্রে। স্বল্প সময়ে অনলাইন ক্রেতার মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করলেও প্রতিষ্ঠানটি এখন গ্রাহক ভোগান্তি ও সমালোচনার শীর্ষে অবস্থান করছে।

ইভ্যালির ‘সম্পদের চেয়ে ছয় গুণ বেশি দেনা’ বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে তথ্য উঠে আসে। প্রতিবেদনে উঠে আসে ইভ্যালির মোট দায় ৪০৭ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম নিয়েছে ২১৪ কোটি টাকা, আর মার্চেন্টদের কাছ থেকে বাকিতে পণ্য নিয়েছে ১৯০ কোটি টাকার। স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিষ্ঠানটির কাছে কমপক্ষে ৪০৪ কোটি টাকার চলতি সম্পদ থাকার কথা। কিন্তু সম্পদ আছে মাত্র ৬৫ কোটি টাকার।

এছাড়া গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছ থেকে গত ১৪ মার্চ পর্যন্ত ইভ্যালির নেওয়া অগ্রিম ৩৩৯ কোটি টাকার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। এ টাকা আত্মসাৎ বা অবৈধভাবে অন্যত্র সরিয়ে ফেলার আশঙ্কা রয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে সম্পদ ও দা‌য়ের হিসাব দিয়ে‌ছে ইভ্যালি। এ‌তে প্র‌তিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তার নিজের ব্র্যান্ড মূল্য ৪২৩ কোটি টাকা।

গত ১৫ জুলাই পর্যন্ত তাদের মোট দায় ৫৪৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে এক কোটি টাকা শেয়ারহোল্ডার হিসেবে কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল কোম্পানিকে দিয়েছেন। বাকি ৫৪৩ কোটি টাকা হচ্ছে কোম্পানিটির চলতি দায়।

ইভ্যালি জানায়, দায়ের বিপরীতে তাদের চলতি সম্পদ রয়েছে ৯০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। আর সম্পত্তি, স্থাপনা ও যন্ত্রপাতি মিলিয়ে রয়েছে ১৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। সব মি‌লি‌য়ে স্থাবর সম্পত্তি দাঁড়ায় ১০৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

মোট দায় ৫৪৪ কোটি টাকা থেকে স্থাবর সম্পত্তি ১০৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বাদ দিলে বাকি থাকে ৪৩৯ কোটি টাকা, যাকে ইভ্যালি বলছে তার অস্থাবর সম্পত্তি।

বিবরণী মেলাতে ইভ্যালি দেখিয়েছে অস্থাবর সম্পত্তি ৪৩৮ কোটি টাকার মধ্যে ৪২৩ কোটি টাকা হচ্ছে তার ব্র্যান্ড মূল্য, আর ১৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকা হচ্ছে অদৃশ্যমান সম্পত্তি।

সব মি‌লি‌য়ে ইভ্যালির মোট দেনার পরিমাণ ৫৪২ কোটি ৯৯ লাখ ৫৮ হাজার ৪৮২ টাকা। এই দেনার বিপরীতে তাদের দৃশ্যমান ও অদৃশ্য মোট সম্পদ রয়েছে ৫৪৩ কোটি ৯৯ লাখ ৫৮ হাজার ৪৮২ টাকা।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..