প্রত্যয় নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব ক্রিকেটে একটি বিষয়ে সবার চেয়ে আলাদা দক্ষিণ আফ্রিকার লেগস্পিনার ইমরান তাহির। তা হল তার উইকেট উদযাপনের ধরন। ম্যাচের যেকোনো সময়, যেকোনো পরিস্থিতিতে, যেকোনোভাবে উইকেট পেলেই লম্বা এক দৌড় শুরু করেন তাহির; যা প্রায়ই শেষ হয় সীমানা দড়ির কাছে গিয়ে।
তাহিরের এমন উদযাপন নিয়ে নানান ট্রল ও কৌতুক হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বিভিন্ন বানানো ভিডিওতে দেখানো হয়, উইকেট নেয়ার পর উদযাপন করতে করতে মাঠ ছেড়ে রাস্তা পেরিয়ে কোলাহলের মধ্যে মিশে গেছেন তাহির। এসব নিয়ে নিয়মিতই মজা করে থাকেন নেটিজেনরা।
তবে এতদিন ধরে এটি স্রেফ ট্রল করে বানানো হলেও, এবার তাহির নিজেই জানালেন যে, একবার উইকেট উদযাপন করতে করতে ঠিকই মাঠের বাইরে রাস্তায় চলে গিয়েছিলেন তিনি। পরে আবার দৌড়ে মাঠে ফিরতে হয় তাকে। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সঙ্গে এক লাইড আড্ডায় এ কথা জানিয়েছেন তাহির।
প্রায় দেড় দশক আগের সেই স্মৃতি মনে করে তাহির বলেন, ‘আমি এটাকে (উদ্দাম উদযাপন) নিখাদ প্যাশন বলি। জানি না এটা কীভাবে এলো আমার মধ্যে। প্রায় ১৫ বছর আগে ইংল্যান্ডের ক্লাব ক্রিকেটে একটা দুর্দান্ত ক্যাচে উইকেট নেয়ার পর আমি সোজা মাঠের বাইরেই চলে গিয়েছিলাম। পরে রাস্তা থেকে আবার ফিরে আসতে হয়েছে।’
‘মানুষজন এটা দেখে হাসছিল। আমি জানি না। এটা হয়তো হাসির ছিল। তবে আমি সবসময় এমনই ছিলাম। আমি জানি না, মানুষ এটাকে কীভাবে নেয়। উদযাপনের ব্যাপারে তো আসলে কোনো পরিকল্পনা থাকে না। প্রতি উইকেটই সমান গুরুত্বপূর্ণ।’
এরই মধ্যে জীবনের ৪১ বসন্ত কাটিয়ে ফেলেছেন তাহির। তবু খেলে যাচ্ছেন চিরতরুণের মতো। সাফ জানিয়েছেন, নিকট ভবিষ্যতে অবসর নেয়ার কোনো চিন্তাই নেই তার মধ্যে। নিজের পরিবারের খেয়াল রাখতে আরও অনেকদিন খেলে যেতে চান তিনি।
তাহিরের ভাষ্য, ‘আমার তো এই একটাই সুযোগ! তাহলে কেন বেশিদিন খেলব না? আমি ক্রিকেটে এসেছি পরিবার এবং নিজের জন্য অর্থ উপার্জন করতে। যত বেশি সম্ভব অর্থ উপার্জন করতে হবে। আমি যদি কঠোর পরিশ্রম করতে পারি, তাহলে কেন নয়? আমি যত দিন পারবি খেলব। নিজের ওপর গর্ব করতে চাই আমি, পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক ক্রিকেটার হিসেবে।’
তবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের চলতি আসরে এখনও পর্যন্ত একটি ম্যাচেও নামার সুযোগ পাননি এ দক্ষিণ আফ্রিকান লেগস্পিনার। অথচ আইপিএলের গত আসরেও চেন্নাইয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেটশিকার ছিলেন তিনি। সবমিলিয়ে ৩০১ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ৩৮০ উইকেট রয়েছে তাহিরের ঝুলিতে।