শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৬ অপরাহ্ন
ওয়েব ডেস্ক: অভিবাসীদের আগমন নিয়ন্ত্রণ করতে এবার এইচ-ওয়ান বি ভিসার বাৎসরিক ফি ১ হাজার ৫০০ ডলার থেকে ১ লাখ ডলারে উন্নীত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। শুক্রবার দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এইচ-ওয়ান বি একটি বিশেষ ভিসা কর্মসূচি, যার আওতায় মার্কিন কোম্পানিগুলো অস্থায়ীভাবে দক্ষ বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ দিয়ে থাকে। ২০০৪ সাল থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি বা প্রকল্পের আওতায় প্রতি বছর ৮৫ হাজার বিদেশি কর্মীকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ও কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়।
মূলত বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি, প্রকৌশল বিদ্যা এবং ব্যাবসায় প্রশাসনে দক্ষ বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ দেওয়া হয় এ ভিসার আওতায়। যুক্তরাষ্ট্রের পরিসংখ্যান বিভাগের তথ্য বলছে, অ্যামাজন, মাইক্রোসফট, মেটা, অ্যাপল, গুগল প্রভৃতি কোম্পানিগুলো এই ভিসা কর্মসূচির সবচেয়ে বড় লাভবান বা সুবিধাভোগী। শত শত বিদেশি কর্মী এসব কোম্পানিতে কাজ করেন।
এতদিন এই প্রোগ্রামে নিবন্ধিত কোম্পানিগুলোকে ভিসা ফি বাবদ প্রতি বছর ১ হাজার ৫০০ ডলার ফি দিতে হতো। সেটি এখন বাড়িয়ে ১ লাখ ডলার করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিখাতের কর্মীদের বলা হয় স্টেম ওয়ার্কার। মার্কিন পরিসংখ্যান দপ্তরের হিসেব অনুযায়ী, ২০০০ সালে দেশটিতে যত সংখ্যক বিদেশি স্টেম ওয়ার্কার ছিল, এইচ-ওয়ান বি ভিসা কর্মসূচি চালু হওয়ার পর সেখানে যোগ হয়েছেন আরও ২৫ লাখ বিদেশে স্টেম ওয়ার্কার। শতকরা হিসেবে ২০০০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এ ভিসা কর্মসূচির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকর্মীদের হার বেড়েছে ৪৪ দশমিক ৫ শতাংশ। এই কর্মীদের অধিকাংশই ভারত এবং চীন থেকে আসা।
শুক্রবার ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে হাওয়ার্ড লুটনিক বলেন, “বড় বড় কোম্পানিগুলো প্রতি বছর লাখ লাখ বিদেশি কর্মীকে যুক্তরাষ্ট্রে আনছে। এই ভিসা ফি বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা তাদের এই বার্তা দিতে চাই যে যদি আপনারা দক্ষ কর্মী চান— তাহলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ডিগ্রি নেওয়া শিক্ষার্থীদের নিয়োগ করুন, অথবা মার্কিনিদের প্রশিক্ষিত করুন। আমাদের চাকরি বাইরের লোকজনদের কেড়ে নিতে দেবেন না।”
সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি