প্রত্যয় নিউজডেস্ক: বৃহস্পতিবার রাতে ব্যাটসম্যানদের ভয়াবহ ব্যর্থতায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ৬৯ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে কিংস এলেভেন পাঞ্জাব। ক্যারিবীয় তরুণ নিকোলাস পুরানের ৩৭ বলে ৭৭ রানের টর্নেডো ইনিংসের পরেও ২০২ রানের লক্ষ্যে ১৩২ রানের বেশি করতে পারেনি পাঞ্জাব। দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর ছিল মাত্র ১১ রানের।
এ পরাজয়ের পর পয়েন্ট টেবিলের পাকাপোক্তভাবে সবার নিচে বসে গেছে পাঞ্জাবের নাম। টুর্নামেন্টে অন্তত ২টি করে ম্যাচ জিতেছে বাকি সাত দল। শুধুমাত্র পাঞ্জাবই নিজেদের প্রথম ছয় ম্যাচে পেয়েছে মাত্র একটি জয়ের দেখা, তাও চার ম্যাচ আগে। হায়দরাবাদের বিপক্ষে তারা হেরেছে টানা চতুর্থ ম্যাচ।
সবশেষ পরাজয়ের ম্যাচটিতে ঘটেছে মজার এক কাণ্ড। পাঞ্জাবের ইনিংসের শেষদিকে এক ডেলিভারিতে নেয়া হয়েছে দুই রিভিউ। তবে দুইটিই গিয়েছে হায়দরাবাদের পক্ষে। যেখানে বোলার ছিলেন খলিল আহমেদ এবং ব্যাটসম্যান ছিলেন মুজিব উর রহমান। এ রিভিউ কাণ্ডে অন্যতম চরিত্র আম্পায়ার অনিল চৌধুরীও।
ঘটনা পাঞ্জাবের ইনিংসের ১৪তম ওভারের। ততক্ষণে ৫ উইকেট হারিয়ে পরাজয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে পাঞ্জাবের। সে ওভারটি করছিলেন খলিল, ওভারের পঞ্চম বলে স্ট্রাইকে ছিলেন সদ্য উইকেটে আসা মুজিব। ফুল লেন্থের ডেলিভারিতে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন মুজিব। কিন্তু সেটি ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষক জনি বেয়ারস্টোর হাতে।
সঙ্গে সঙ্গে আবেদন করেন খলিল ও বেয়ারস্টো। সেই আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার অনিল, আবার আবেদন নাকচও করে দেননি। বরং তিনি অপেক্ষা রিভিউ নেয়ার জন্য বরাদ্দ ১৫ সেকেন্ড সময় শেষ হওয়ার। সেটি শেষ হতেই থার্ড আম্পায়ারের কাছে রিভিউ করেন অনিল নিজেই। কেননা তার সংশয় ছিল, বলটি হয়তো মুজিবের ব্যাট ছুঁয়ে মাটিতে পড়ে তারপর গেছে বেয়ারস্টোর গ্লাভসে।
তাই সফট সিগন্যাল হিসেবে নটআউট দিয়ে আম্পায়ার রিভিউ ডাকেন অনিল। রিপ্লেতে থার্ড আম্পায়ার যশন্ত ভার্দে ফিল্ড আম্পায়ারের চাহিদা মোতাবেক শুধুমাত্র চেক করেন, বলটি মাটিতে লেগে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে গিয়েছে কি না। সেখানে দেখা যায়, ব্যাটে লেগে সরাসরিই গিয়েছে বেয়ারস্টোর গ্লাভসে। তাই আউটের সিদ্ধান্ত জানান থার্ড আম্পায়ার।
এই রিভিউতে ব্যাটে লেগেছে কি না সেটি চেক করেননি থার্ড আম্পায়ার ভার্দে। যা মনঃপুত হয়নি পাঞ্জাব ব্যাটসম্যান মুজিবের। তাই তিনি এবার নেন ব্যাটসম্যান রিভিউ, বলেন আল্ট্রাএজের মাধ্যমে ব্যাটে লাগার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে। যেই কথা সেই কাজ! আবার রিপ্লে দেখে আল্ট্রা এজের মাধ্যমে চেক করা হয় ব্যাটের কানায় বলটি লেগেছে কি না।
দেখা যায়, প্রায় একই সময়ে মুজিবের ব্যাট মাটিতে লাগে এবং বলটিও লাগে ব্যাটে; তাই খানিক বিভ্রান্তি তৈরি হলেও, ভালোভাবে দেখে মুজিবকে আউটের সিদ্ধান্তই জানান থার্ড আম্পায়ার ভার্দে। আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় ৩ বলে ১ রান করা মুজিবকে। আর ফেরার আগে এক ডেলিভারিতে দুই রিভিউয়ের জন্মও দিয়ে যান এ আফগান স্পিনার।