ওয়েব ডেস্ক: চট্টগ্রামের পটিয়া থানার ওসিকে অপসারণের দাবিতে নগরীর খুলশী এলাকার ডিআইজি কার্যালয় ঘেরাও করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। একই দাবিতে এর আগে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া বাইপাস এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে তারা। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে যানচলাচল বন্ধ থাকে।
বুধবার (২ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩০ থেকে ৪০ জন নেতাকর্মী চট্টগ্রাম নগরীর খুলশীর জিআইজি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় তাদেরকে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
ওসির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের অভিযোগ তুলে বৈষম্যবিরোধী নেতাকর্মীরা বলছেন, ছাত্রলীগ নেতাকে ধরে থানায় সোপর্দ করায় পটিয়ার ওসি বৈষম্যবিরোধীদের ওপর হামলা করেছে। ওসিকে অপসারণ করতে হবে। ডিআইজির কাছ থেকে সন্তোষজনক সীদ্ধান্ত না পেলে পুরো চট্টগ্রাম অবরোধ করার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তারা।
শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী বিকেল সাড়ে চারটার পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা পটিয়ায় মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। এদিন বেলা সাড়ে ১২টা থেকে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ মহাসড়ক ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা দেন। পটিয়া বাইপাসের চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি দীপঙ্কর দেকে ধরে থানায় সোপর্দ করতে যায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। তবে ওই ছাত্রলীগ নেতার নামে কোনো মামলা না থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে অস্বীকৃতি জানায়। এ নিয়ে আন্দোলনকারী নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের উত্তেজনা দেখা দেয় এবং একপর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক রিদওয়ান সিদ্দিকী ও এনসিপির মহানগর সংগঠক সাইদুর রহমানসহ আহত হন কয়েকজন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা সকালে পটিয়া থানা ঘেরাও করেন, পরে মহাসড়ক অবরোধ করেন।