নিজস্ব প্রতিবেদক: নদী দখল করে ঢাকা-১৪ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আসলামুল হকের মালিকানাধীন বুড়িগঙ্গা ও তুরাগে অবস্থিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ বন্ধ এবং ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার আসলামুল হকের করা রিট খারিজের আদেশ দেন। আদালতে নদী কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। আসলামের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অজি উল্লাহ ও আইনজীবী মামুন মাহবুব। মনজিল মোরসেদ বলেন, এমপি আসলামের বুড়িগঙ্গা ও তুরাগে অবস্থিত মাইশা গ্রুপের তিনটি কারখানা উচ্ছেদ বন্ধ চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। এর ফলে তার দখল করা অংশে উচ্ছেদে আর কোনো বাধা রইল না।
বুড়িগঙ্গা দখলমুক্ত করার অভিযানের অংশ হিসেবে গত ৩ মার্চ মায়িশা পাওয়ার প্ল্যান্টের সীমানা প্রাচীরসহ বেশকিছু স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয় বিআইডব্লিউটিএ। উদ্ধার করা হয় প্রায় চার একর জমি। এই প্ল্যান্টের পাশেই রয়েছে আরিশা বেসরকারি ইকোনমিক জোন। বিআইডব্লিউটিএর অভিযানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে তিনটি রিট করেন আসলামুল হক। এর মধ্যে একটির শুনানি নিয়ে আদালত বিরোধপূর্ণ ভূমিতে জরিপ চালিয়ে প্রতিবেদন দিতে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে নির্দেশ দেন।
এরপর ১৬ সেপ্টেম্বর নদী রক্ষা কমিশনের সম্মেলন কক্ষে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানি হয়। পাশাপাশি বিরোধপূর্ণ জায়গায় জেলা প্রশাসন, বিআইডব্লিউটিএ, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের (স্পারসো) মতো আটটি সরকারি সংস্থা জরিপ চালায়। এসবের ভিত্তিতে নদী রক্ষা কমিশনের তৈরি চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসলামের বিরুদ্ধে নদীর জায়গা দখলের সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে।