নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার তল্লায় ডাইরিয়া ছড়িয়ে পড়ছে। গত চব্বিশ ঘন্টায় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে সত্তর জন ডাইরিয়া রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। যাদের প্রায় সবাই তল্লা ও আশেপাশের এলাকার। চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের আত্মীয়রা বলছেন, এ এলাকায় সরবরাহ করা ওয়াসার দূষিত পানির কারনেই ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে।
তল্লা ছোট মসজিদ এলাকার বাসিন্দা তাহমিনা আক্তার তার আত্মীয় সালামের সাথে এসেছিলেন হাসপাতালে। তাহমিনা জানালেন, প্রায় ছয় মাস ধরেই তাদের এলাকায় ওয়াসার সরবরাহ করা পানিতে ময়লা আসছে। গত কয়েকমাস তারা এ পানি ফুটিয়ে খাচ্ছেন। গত এক সপ্তাহ ধরে যে পানি আসছে তাতে প্রবল গন্ধ। পানি বেশ ঘোলা। পানি ফুটালেও গন্ধ যাচ্ছেনা। এ পানি খেয়ে এলাকায় ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে।
তল্লা আজমেরীবাগ এলাকার বাসিন্দা মাহবুবুর রহমান মুরাদ জানান, তার বাবা আব্দুল মান্নান গতকাল রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত ১২-১৩ বার টয়লেট করায় তাকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন। এখানে তাকে স্যালাইন দেয়া হয়েছে। তারা ওয়াসার পানি খাননা। তবে ফুটিয়ে রান্নার কাজে ব্যবহার করেন। কয়েকদিন ধরে পানিতে কালো ময়লা আসছে। তার ধারনা রান্নায় ওয়াসার পানি ব্যবহার করায় সে পানি থেকেই ডায়রিয়া হয়েছে। তিনি জানান, দুইদিন আগে তার ভাইয়ের ছেলেরও ডায়রিয়া হয়েছিলো।
নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালেই একমাত্র ডায়রিয়া ওয়ার্ড রয়েছে। আট বেডের এ ডায়রিয়া ওয়ার্ডের সিনিয়র ষ্টাফ নার্স বকুল বালা সোমবার সন্ধ্যায় জানান, গত চব্বিশ ঘন্টায় হাসপাতালে সত্তরজন ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। যার বেশিরভাগই তল্লা, পার্শ্ববর্তী পাঠানটুলি, হাজীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। কিছুক্ষন পরপরই এক দুইজন করে রোগী আসছেন। সবাই ওয়াসার পানির বিরুদ্ধেই অভিযোগ করছেন। বকুল বালা আরো জানান, হাসপাতালে স্যালাইন, ওষুধ পর্যাপ্ত থাকলেও মাত্র আট বেডের হাসপাতালে এত বেশি পরিমান রোগী রেখে চিকিৎসা দেয়ার অবস্থা নেই।